শিল্পমাধ্যমের প্রায়োগিক দিক আদপেই কোনো অব্যয়, অপরিবর্তনশীল কিছু নয়। প্রতিটি মাধ্যমের পদ্ধতিতে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োগ প্রথায় ভিন্ন নামে পরিবর্তিত হচ্ছে।
শিল্পের শিক্ষা গ্রহণ করলেই যে তাকে দৃশ্যশিল্পের মান শিল্পী হতে হবে এমন নয়। শিল্পচর্চা করে নিরেট শিল্পী না হলেও বর্তমান সময়ে একজন শিল্পশিক্ষার্থীর জন্য নানাবিধ শিল্পসংক্রান্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে; যেমন ফ্যাশন ডিজাইনার, অ্যানিমেটর, কার্টুনিস্ট, গ্রাফিক ডিজাইনার, পারফর্মিং আর্টিস্ট, ইলাস্ট্রেটর, ভিডিয়ো আর্টিস্ট, ইন্সট্রোলেশন, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং আরো অনেক ধরনের পেশায় তাঁরা যুক্ত হতে পারেন। এ ছাড়া বর্তমানে দেশের শিল্পীরা বিভিন্ন দেশে তাঁদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের নাম সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন, রাখবেন এবং রেখে যাবেন।
দীর্ঘদিনের আহৃত অভিজ্ঞতার আলোকে শিল্পশিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমার এই গ্রন্থটি নিবেদিত হলো।
নাসিমা মাসুদের জন্ম ০১ জুন ১৯৫৭, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। পড়াশুনা চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় বিএ সম্মান ও এমএ (পেইন্টিং)-এ পাস করার পর চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চারুকলা ইনস্টিটিউটসহ সর্বমোট (১৯৮৩-২০২২) চল্লিশ বছরের চাকুরী জীবন সমাপ্ত করেন।
তিনি চিত্রকর হিসেবে নবীন, জাতীয়, আন্তর্জাতিক, বহু দলীয় এবং অনলাইন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর কর্মে নারীর গৌরব গাঁথা এবং নারীর সামাজিক ও মানবিক বিপর্যয়ের ট্রাজেডি এবং সময়কে ধরে রাখায় সংবেদনশীল সৃজনশীলতায় চিত্রিত হতে দেখা যায়। বর্তমানে তিনি ছবি আঁকার পাশাপাশি শিল্প বিষয়ক লেখালেখিতে সময় অতিবাহিত করেন। শিল্পী কিবরিয়ার শিল্পের স্বরূপ অন্বেষণ এবং শিশু চিত্রকলার নন্দনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ বিষয়ে দু’টো প্রবন্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশসহ তাঁর লেখা অনেক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।