মানবিক বোধ ও অনুভবের আয়োজেনে কবি ও কথাকার মনিরুজ্জামান বাদল রচনা করেন- জলবায়ু মেলার কথা। এই রচনার উদ্দেশ্য লেখকের নির্মোহ দৃষ্টিলোকে প্রকৃতি ও জীবনকে প্রত্যক্ষকরণ। এবং তাঁর দেখা ও দৃষ্টিভঙ্গির বাতায়নে বর্তমান বিশ্বে সংগঠিত ভ‚রাজনীতির নানাবিধ মেরুকরণ, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ জীবনবোধ, বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আয়োজনের অভিজ্ঞতা আলোচ্য গদ্যগ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। গ্রন্থটির লেখ্য প্রকরণে গদ্যের সঞ্চারণ সত্তে¡ও এ গ্রন্থ পদ্যের গীতলতায় আবাসিত হয়ে উঠেছে। এমন বিবেচনায় জলবায়ু মেলার কথা শীর্ষক গ্রন্থটিকে অবশ্যই এক সৃষ্টিশীল রচনার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে জীবনের অনিবার্য সম্পৃক্ততায় প্রকৃতি যেন জীবন্ত সত্তারূপে সতত বিরাজমান। প্রকৃতির বিলয় অথবা বিলুপ্তির বিপরীতে লেখক অত্যন্ত সহমমির্তার সঙ্গে জীবন ও প্রকৃতির পারস্পরিক সহাবস্থান ও উন্নয়নের দিকে বিশ্বের সকল জীবন¬ ও জগৎকে আবাহন করেছেন। এবং এই নির্মল আবাহনে আন্তরিকতা ও সততার দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রবলভাবে প্রত্যক্ষ করি। কবি ও লেখক মনিরুজ্জামান বাদলের আহবানে বিশ্ব ও বাঙালি সমাজ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম এই গ্রন্থের বিষয় ও বৈভবের সঙ্গে নিশ্চিতই যুক্ত হতে পারেনÑনিজ নিজ দেখা ও অনুভবের সঙ্গে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারেন।
বিশ্ব জলবায়ু মেলা ও জীববৈচিত্র্যের আলোচনার প্রসঙ্গে লেখক বাংলাদেশ তথা বাঙালির জীবনায়নের সূত্রটিকেও আলোচ্য গ্রন্থে সম্পৃক্ত করেন। কবি ও কথাকার মনিরুজ্জামান বাদল আলোচ্য গ্রন্থে গল্পের আবহে জলবায়ু মেলা ও জীববৈচিত্র্যের বর্ণিল কথন পাঠকের জন্য চিত্তাকর্ষক ও নতুন অভিজ্ঞতার সম্ভার হয়ে উঠবে নিশ্চিত।