রুহানী হিফজ কুরআন এর
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
🔹 মাসহাফ সাইজ ও ওজন:
– রুহানী হিফজ কুরআনটি ১০” × ৭.৫” (ইঞ্চি) সাইজের, যা সাধারণ হিফজ কুরআনের চেয়ে বড়। এটি একাডেমিক স্টাইলের, মিডিয়াম সাইজ বলা যায়। মাসহাফটির ওজন ১.১ কেজি প্রায়।
🔹 যাদের জন্য উপযোগী:
– নাজেরা ও হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত
– বয়স্কদের জন্য বিশেষায়িত, যাদের ছোট ফন্ট পড়তে সমস্যা হয়
– স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য
– ব্যক্তি উদ্যোগে ব্যবহারের জন্য
🔹 উচ্চমানের আরবি ফন্ট:
এই রুহানী হিফজ কুরআনে প্রচলিত কুরআনের মতো উর্দু স্টাইল নয়; বরং ঝরঝরে, কম্পিউটারাইজড ও পরিচিত আরবি ফন্ট ব্যবহৃত হয়েছে। উসমানী খতে প্রতিটি হরফই স্পষ্ট বোঝা যায়।
🔹 বিন্যাসগত বৈশিষ্ট্য:
- তিন স্তরে পৃষ্ঠা বিন্যাস:
– প্রতিটি পৃষ্ঠাকে ৩ ভাগ করে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাতে সহজে সিলেবাস ভাগ করে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী মুখস্থ করা যায়।
- অর্থভিত্তিক প্যারাগ্রাফ চিহ্নিত:
– আয়াত নম্বর ফিল কালার করে অর্থের ভিত্তিতে বিষয়গত অনুচ্ছেদ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অর্থ বুঝতে সাহায্য করবে।
- রুকুর সূচনার নির্দিষ্টকরণ:
– প্রতিটি রুকুর শুরুতে কালো রঙ ও রুকু নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে, এতে রুকু কখন শুরু হচ্ছে তা বোঝা সহজ হবে।
- অন্যান্য সহায়ক তথ্য:
– প্রতিটি পৃষ্ঠায় সূরা নাম, আয়াত সীমা, পারা নাম্বার, পৃষ্ঠা নম্বর ও পরবর্তী পৃষ্ঠার সূচনা উল্লেখ করা হয়েছে।
- জোর পৃষ্ঠায় পারা শুরু:
– প্রতিটি পারা শুরু হচ্ছে বিজোড় সংখ্যায় (১, ২১, ৪১ ইত্যাদি) এবং পারা শেষ হচ্ছে জোড় সংখ্যায় (২০, ৪০, ৬০ ইত্যাদি)। এতে পারার পৃষ্ঠা হিসাব করতে সহজ হবে।
- তাজবীদ সংযোজন:
– মাসহাফের শেষে ইলমুত তাজবীদের মৌলিক বিষয়গুলো সুন্দরভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
- কুরআনের শব্দ তালিকা:
– মাসহাফের শেষে কুরআনের কিছু পরিভাষা, বাংলা ভাষায় প্রচলিত কিছু শব্দ এবং বিপরীত অর্থবোধক শব্দ তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।
🔹 রুহানী হিফজ নিসাবের অংশ:
– এই মাসহাফটি রুহানী হিফজ নিসাব এর মূল পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই নিসাবে স্বল্প সময় ও শ্রমে হিফজের সুযোগ, পাশাপাশি অর্থ বোঝার সক্ষমতা ও একাডেমিক শিক্ষার সহাবস্থান রয়েছে।
🔹 মুদ্রণ বৈশিষ্ট্য:
– দুই কালারে ছাপা
– ৭০ গ্রাম অফহোয়াইট কাগজ
– হার্ডকাভার বাইন্ডিং