এই বইটি উপযোগী:
- যারা বিদেশে অভিবাসনের পরিকল্পনা করছেন
- অভিবাসন আইনজীবী বা পরামর্শক হতে চান
- আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও জনসংখ্যা পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন
১. অভিবাসনের সংজ্ঞা ও প্রেক্ষাপট:
বইটির শুরুতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে অভিবাসন কী, কেন মানুষ এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়। যুদ্ধ, দারিদ্র্য, শিক্ষা, চাকরি, নিরাপত্তা, বা উন্নত জীবনের আশাই সাধারণত এর মূল কারণ।
২. অভিবাসনের ইতিহাস:
প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত অভিবাসনের বিবর্তন আলোচনা করা হয়েছে। রোমান সাম্রাজ্য, ঔপনিবেশিক যুগ, বিশ্বযুদ্ধ, এবং আধুনিক গ্লোবালাইজেশনের সময়ে কীভাবে অভিবাসনের ধারা পরিবর্তিত হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
৩. প্রধান অভিবাসন গন্তব্য দেশ:
বইটিতে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় দেশগুলো, এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর অভিবাসন নীতিমালা ও সুযোগ-সুবিধা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য অংশ:
- কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রি
- অস্ট্রেলিয়ার স্কিল সিলেকশন ভিসা (Subclass 189)
- যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীন কার্ড লটারি ও এইচ-১বি ভিসা
- ইউরোপের ব্লু কার্ড সিস্টেম
৪. অভিবাসনের প্রভাব:
- ইতিবাচক দিক: নতুন দেশে কাজ, শিক্ষা, নিরাপত্তা, উন্নত জীবনযাপন
- নেতিবাচক দিক: ভাষাগত সমস্যা, সংস্কৃতিগত ভিন্নতা, বৈষম্য, আইনি জটিলতা
৫. বৈধ ও অবৈধ অভিবাসন:
বইটি আইনি অভিবাসনের প্রক্রিয়া ও গুরুত্ব তুলে ধরেছে। পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি, যেমন মানব পাচার, শোষণ ও ডিপোর্টেশন নিয়ে সচেতন করে।
৬. অভিবাসী জীবনের বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ:
ভাষা, চাকরি খোঁজা, আবাসন, সামাজিক মেলামেশা এবং মানসিক চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে অভিবাসীদের সাক্ষাৎকার ও জীবনের গল্পের মাধ্যমে।
৭. ভবিষ্যৎ অভিবাসন প্রবণতা:
জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গ্লোবাল ক্রাইসিস, এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ভবিষ্যতে অভিবাসনের ধরণ কেমন হবে, সেই পূর্বাভাসও বইটিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।