এই ব্যাখ্যাগ্রন্থটি অনন্য বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির এক অনবদ্য সমাহার। পাঠকের বোধগম্যতা ও হৃদয়ঙ্গমতার দিকটি বিশেষভাবে বিবেচনায় রেখে এটি সাজানো হয়েছে সাবলীল, সহজ ও সাহিত্যগন্ধযুক্ত ভাষায়।
সহজ ও চমৎকার উপস্থাপনা: প্রতিটি আলোচনা এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা সাধারণ পাঠকের কাছেও হৃদয়গ্রাহী ও গ্রহণযোগ্য হয়।
বিশ্বস্ত রেফারেন্স: প্রতিটি ব্যাখ্যায় প্রাসঙ্গিক রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে, যাতে পাঠক নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক উপলব্ধি লাভ করতে পারেন।
ইমামগণের মতামত: হাদিস ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে পূর্বসূরি ইমামগণের বিশ্লেষণ ও অভিমত বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
বৈপরীত্যের সমন্বয়: একাধিক পরস্পরবিরোধী বর্ণনা সামনে এলে ইমামদের বিশ্লেষণ আলোচনায় এনে অপার সমন্বয় ও গ্রহণযোগ্য সমাধান উপস্থাপন করা হয়েছে।
হাদিসের শিক্ষা ও আহকাম: হাদিস থেকে উদ্ভূত শিক্ষণীয় দিক, সূক্ষ্মদর্শন ব্যাখ্যা ও শারঈ বিধানসমূহ বোধগম্যভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
শব্দ বিশ্লেষণ: গুরুত্বপূর্ণ শব্দসমূহের আভিধানিক অর্থ, ইমামদের ভাষ্য এবং আলোচ্য হাদিসে তার প্রাসঙ্গিকতা সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
রাবিদের পরিচিতি: হাদিস বিশ্লেষণে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রাবিদের পরিচয় ও প্রেক্ষাপটও তুলে ধরা হয়েছে।
শাস্ত্রীয় আলোচনা: প্রয়োজন অনুযায়ী হাদিসশাস্ত্রের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে (যেমন: সহিহ-দঈফ ইত্যাদি) সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল আলোচনা করা হয়েছে।
তাখরিজ উল্লেখ: প্রতিটি হাদিসের তাখরিজ (উৎস) যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যাতে পাঠক হাদিসের অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতা বুঝতে পারেন।
ইরাব ও ব্যাকরণ আলোচনা: প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে ইরাব (Arabic syntax) সংক্রান্ত আলোচনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আরবিভাষা বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক।
মধ্যমপন্থা: ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কোনো চরমপন্থা গ্রহণ না করে পরিমিতি ও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও গ্রন্থে এমন বহু চমৎকার ও চিন্তাজনক বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা হাদিস অনুধাবনে সহায়ক এবং জ্ঞানপিপাসু পাঠকের অন্তরকে করবে সমৃদ্ধ।