সম্পর্কটা কখনো অনুভবই করতে পারল না। আমিও আর তাকে...
ভাবনাময় অনুভূতিগুলো সাড়া জাগায় তুমি ছিলে, আছ, থাকবে শেষ নিশ্বাস অবধি। কারণ আমার সমস্ত অস্তিত্ব বা মস্তিষ্ক জুড়ে শুধুই তুমি।
...কবির এই দীপ্ত উচ্চারণ জানিয়ে দিচ্ছে শাশ্বত নির্মল প্রেমের পূজারি কবি অলকা চক্রবর্তী। তিনি কবিতায় সেই সত্য সুন্দর প্রেমের গান গেয়েছেন। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কের এপিঠ ওপিঠ বাস্তবতার আলোকের সন্ধান করে। তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ তারপর সেই সম্পর্কটা। উপহার দিচ্ছেন বাংলা সাহিত্যের চারণভূমি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় যার জন্ম, ভাদ্রের অঝোর ধারায় কাব্যময়তায় যে মাটি, সে মাটির প্রেম নিয়েই তিনি অঙ্কুরিত হয়েছেন। সংসারের প্রতিকূলতার বাধ অতিক্রম করে সাহিত্য সাধনায় মগ্ন।
তারপর সেই সম্পর্কটা কাব্যগ্রন্থে সত্তরের অধিক কবিতা স্থান পেয়েছে। প্রতিটি কবিতায় কবির অন্তর নিংড়ানো শব্দ চয়নের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে চিরন্তন ভালোবাসা, প্রেম, দ্রোহ, রাগ-অনুরাগের মধুময় নির্যাস। সাহিত্য রসিক ভ্রমর অবশ্যই এ কাব্যগ্রন্থখানা থেকে কাব্যরস আহরণ করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কবি অলকা চক্রবর্তী নানা প্রতিকূলতাকে দু’পায়ে মাড়িয়ে কাব্যচর্চায় অদম্য। কোমল হৃদয়ের অধিকারী তিনি তাঁর কোমলতা দিয়ে কাব্যগ্রন্থের পাতাগুলো সাজিয়েছেন, অনেকটা নিপুণ হাতে। শব্দ চয়ণ বর্ণনায় সারল্য সাবলীলতা অর্থের চৈতন্য সার্বজনীন। কবি অলকা চক্রবর্তীর এ কাব্যগ্রন্থ পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে বাংলাসাহিত্য ভান্ডারে স্থান লাভ করুক।