সমস্ত প্রশংসার মহান আল্লাহ তা'লার জন্য। অসংখ্য দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর।
পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকে আজ অবধি মানব সম্প্রদায়ের এই বিস্তার মহান আল্লাহর এক অপূর্ব সৃষ্টি। মহান আল্লাহর এই সৃষ্টির ধারা আদম এবং হাওয়া আলাইহিমাস সালামের থেকে আজ পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছেন। ধীরে ধীরে এই জনসংখ্যা শত কোটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হরেক রকমের মানুষ। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি বৈধ মাধ্যম হচ্ছে বিয়ে।
পৃথিবীর প্রতিটি দেশে প্রতিটি ধর্মেই রয়েছে বিয়ের প্রচলন। বিয়ে ব্যতীত কোনো ধর্মই অবৈধ মেলামেশার অনুমোদন দেয় না। তাই প্রতিটি ধর্মেই বিয়ের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা সংস্কৃতি।
অনুরূপ ইসলাম ধর্মেও বিবাহের জন্য রয়েছে উত্তম সংস্কৃতি। যাতে প্রভৃত কল্যাণ নিহিত। আর সে সংস্কৃতি বা আযোজন কেমন হবে তাও ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে। কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি বিয়ের প্রয়োজনীয়তা, উদ্দেশ্য, বিয়েতে করণীয়-বর্জনীয় এবং বিয়েতে আনন্দ উৎসবের সীমারেখা।
ইসলাম ধর্মে এতো উত্তম আদর্শ থাকা সত্ত্বেও আজ মুসলিমসমাজে বিবাহের অনুষ্ঠানের দিকে তাকালে অবাক হতে হয়, এটি কি আদৌ মুসলিমদের বিয়ের অনুষ্ঠান! কে শিখিয়েছে বিয়েতে এভাবে আনন্দ উৎসব করতে? কোন পথে চলছে বর্তমান মুসলিম সমাজ!
বলাবাহুল্য যে, একটা সময় আমাদের এই দেশ সুদীর্ঘ সময় ধরে হিন্দুদের দ্বারা শাসিত ছিলো। তখন থেকেই তাদের অনেক রীতিনীতি ও বিশ্বাস ধীরে ধীরে মুসলিমসমাজে অনুপ্রবেশ করেছে। তখনকার সময়ে ইসলামি স্কলার পাওয়া খুবই দুষ্কর ছিলো। ফলে জাতিকে কোনটা ধর্ম আর কোনটা অধর্ম এসব বিষয়ে সতর্ক করার মত ধর্মীয় লোকের বড়ই অভাব ছিলো। তখন তাদের কাছে মান্য ও অনুসরণীয় ব্যক্তিই ছিলো একমাত্র বাব-দাদা বা মুরব্বী। আজও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলতে শুনা যায়, "আমাদের বাব-দাদাদেরকে এরূপ করতে দেখেছি, তাই আমরাও করি।” সেই ধারাবাহিকতায় এখনো না জেনে মুসলিমদের অনুষ্ঠানে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। অনুপ্রবেশ করেছে আরো বিভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতি।