প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 15 Jul 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
‘বেঁচে থাকার উৎসব’ বইটি আমার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। এ গ্রন্থটিকে আমার ছাত্র জীবন থেকে আজ অব্দি লিখিত কবিতার সংকলনও বলা চলে। বাণিজ্যিক কোন উদ্দেশ্যে বইটি লেখা বা ছাপানো হয়নি। তবে কেউ যদি এটি সংগ্রহ করতে চায় তবে তাকে নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি কবিতা আমার সাথে বেড়ে উঠেছে। একজন মাকেও তার সন্তানকে দশ মাস ধারণ করতে হয় আর সৃষ্টি কি এত সহজ! আমি স্রষ্টা নই তবে আমার হৃদয়ের তাড়নায় আমি লিখি। প্রতিটি লেখা আমার কাছে সন্তান তুল্য।এই বইয়ে গ্রন্থিত কবিতাগুলো পাঠককে কখনো শৈশবে কখনো বা কৈশোরে নিয়ে যাবে এমনকি বিরহ বিস্মৃতি, ভালোবাস ও স্নেহে ভরিয়ে তুলবে। এখানে প্রিয় মানুষের বিরহে রয়েছে হাহাকার আবার প্রিয় মানুষটিকে কাছে পাওয়ার জন্য রয়েছে তীব্র আকাঙ্ক্ষা। একজন রক্ত মাংসের মানুষ যেভাবে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে আমার লেখাগুলো পরম যত্নে সেভাবে বেড়ে উঠেছে। মানুষ অতীতকে ভালোবাসে বলে বর্তমান সময়টাকে উপভোগ করতে পারে না। বর্তমান সময়টা অতীত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানকে ভালবাসতে পারে না। প্রতিটি পাঠককে তার অতীত ও বর্তমানের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাবে আমার লেখা কবিতাগুলো। আমার লেখা কোন কবিতাই বানানো নয় বরং প্রকৃতির দান। আমি কেবল সাদা কালো অক্ষরে কবিতাগুলোকে বাস্তবে রূপদান করেছি। লেখাগুলো যেভাবে শৈশব থেকে বেড়ে উঠেছে সেভাবেই পান্ডলিপি আকারে গড়ে তুলেছি। তাই এই কবিতাগুলোতে শৈশবের কাঁচা হাতের লেখার ছাপ রয়েছে আবার কৈশোরের চঞ্চলতা রয়েছে অপরদিকে পরিণত বয়সের আবেগও মিশ্রিত রয়েছে। প্রকৃতি, মা, প্রেমিকা, সন্তান বন্যা, খরা, সামাজিক অসংগতি কি নেই এই বইয়ে। একজন রক্তে মাংসে গড়া মানুষকে যে যে বিষয়গুলো স্পর্শ করে আমার কবিতাগুলো পড়লে প্রায় প্রতিটি বিষয়কেই পুনরায় নাড়া দেবে। লেখাগুলো পাঠ্যপুস্তকের ধরা বাধা কোন নিয়ম মেনে লেখা নয়। লেখাগুলো প্রাকৃতিকভাবে যেভাবে আমার মনে উদয় হয়েছে সেভাবেই লেখা হয়েছে। তাই লেখাগুলো কতটুকু শিল্পমান সম্পন্ন সময়ই বলে দেবে। যদিও আমার কিছু লেখা পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল তবে পূর্ণাঙ্গ বই আকারে এটিই আমার প্রথম প্রকাশিত কোন গ্রন্থ। ভবিষ্যতে যেন আমি আরো ভালো কিছু উপহার দিতে পারি আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়া ও ভালবাসাই আমার পরম পাওয়া।