গুবারে খাতির অঙ্গবিহীন আলিঙ্গন (হার্ডকভার)

গ্রন্থ পরিচিতি

“অতঃপর দেখা গেছে : আহমদ নগর কেল্লার অভ্যন্তরে বন্দী শিবিরে এক নাতিবৃহৎ প্রকোষ্ঠে পরম সৌম্যদর্শন বর্ষীয়ান এক রাজবন্দী রাত্রি শেষের বিরল মুহূর্তে একাকী বসে রয়েছেন। সামনে টেবিলে চা এর সাজ-সরঞ্জাম, সিগ্রেটের টিন, লিখবার কাগজ, কালি-কলম।

বন্দী একবার চা-এর পেয়ালায় চুমুক দিচ্ছেন, সাথে সাথে সিগ্রেটেরও এক একটা দম নিচ্ছেন আর ফাঁকে ফাঁকে কাগজের শ্বেত শুভ্র বুকে কালি-কলমের আঁচড় টেনে টেনে ছবি লিখে যাচ্ছেন।

ছবি তো নয়; সে যেন তাঁরই জটিল জীবনের এক একটি গ্রন্থি উন্মোচন।

এমনি সামগ্রিক পরিবেশ ও মানসিক পটভূমিকায় তিনি ১৯৪২ সাল ১০ই আগস্ট থেকে ১৯৪৩ সাল ১৫ই জুন পর্যন্ত সময়ে তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধু নবাব ইয়ার জঙ্গ খান বাহাদুর হাবীবুর রহমান সাহেবের উদ্দেশে ছোট বড় উনিশটি পত্র লিখেন। ডাকে দেবার সুযোগ না থাকায় পত্রগুলো ফাইলে একের পর এক জমা হতে থাকে।

৩রা আগস্ট কলকাতা থেকে বোম্বাই যাওয়ার পথে ট্রেনে বসে লেখা একটি পত্রও নানা ঝামেলায় ডাকে ছাড়া সম্ভব হয় নি; সেটিও ঐ ফাইলেই ছিলো।

কারামুক্তিরপর তিনি সেগুলো তাঁর সেক্রেটারিকে দেন নকল রেখে মূল কপি প্রাপকের নামে পাঠিয়ে দেবার জন্যে।

কপি করার কালে সেক্রেটারি সাহেব দেখলেন: পত্রগুলো চমৎকার সাহিত্যিক উপাদান ও অপূর্ব রসবস্তুতে ভরা। গ্রন্থাকারে পত্রগুলো প্রকাশের অনুমতি তিনি চেয়ে নিলেন। এভাবে ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উর্দু সাহিত্যের অন্যতম সেরা গ্রন্থ গোবারে খাতির প্রকাশিত হলো।”