প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 20 Aug 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
সাধারণত হ্যাক বা হ্যাকিং বলতে বোঝায় প্রযুক্তির সাহায্যে অন্যের তথ্যউপাত্ত চুরি করা। কিন্তু ব্রেইন হ্যাকিং এবং সাইকোলজিক্যাল হ্যাকিং হচ্ছে এমন একটি টেকনিক যার সাহায্য আপনার মন এবং মস্তিষ্কের সকল কার্যক্রম খুব সহজে এবং স্বল্প পরিশ্রমে কাজে লাগিয়ে অনায়াসে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করার সর্বশ্রেষ্ঠ পদ্ধতি। কারণ আমাদের প্রতিটি চিন্তা ভাবনা, অনুভূতি, প্রতিটি পদক্ষেপ, শারীরিক ও মানসিক সকল কার্যক্রম এবং ব্যক্তিজীবনের সকল কর্মকাণ্ড এসব কিছুই আমাদের মন এবং মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, কর্মক্ষেত্রে সাফল্য, সামাজিক ও ব্যক্তিজীবনের সকল ধরণের সম্পর্ক, সুন্দরসুখি জীবন নির্ভর করে ব্রেইনের স্বাভাবিক গঠন ও সুস্থতা এবং মানসিক প্রশান্তির ওপরে। আসলে আমাদের মস্তিষ্ক এবং মন দুটোই খুব জটিল যন্ত্র আমাদের সঙ্গে এর সম্পর্ক অনেকটা লাভ এবং হেইটের মতো। আমরা চাই এর ওপরে আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকুক কিন্তু আমাদের অজান্তে নিয়ন্ত্রণ প্রায়শই আমাদের আয়ত্বের বাইরে চলে যায়। অনাদিকাল ধরে মানুষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কীভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ এবং শক্তিশালী থাকা যায়, এজন্য অসংখ্য গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। সবকিছু মিলিয়ে একে আমরা লাইফ হ্যাকিংও বলতে পারি সত্যি বলতে কী, ব্রেইনের কর্মদক্ষতা বাড়ান যেমন খুব সহজ কাজ না, তেমন দৈনন্দিন টানাপোড়েন থেকে নিজেকে রক্ষা করাও যথেষ্ট কষ্টকর। স্বাভাবিকভাবেই এবিষয়ে আমাদের জ্ঞানও খুব সীমিত অথবা নাইও বলা চলে, সেক্ষেত্রে এই বই আপনাকে সাহায্য করতে পারে কীভাবে আপনি দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন, স্মৃতি শক্তি কীভাবে অটুট রাখা যায়, কাজের প্রতি কীভাবে মনোনিবেশ করলে দক্ষতা বাড়বে এবং বয়স যাই হোক না কেন, আপনার ব্রেইন পর্যাপ্ত কর্মক্ষম থাকবে এবং মানসিকভাবে ভাবেও আপনি সুস্থ থাকবেন। আর এখনই উপযুক্ত সময়, ব্রেইন হ্যাকিং এবং সাইকোলজিক্যাল হ্যাকিং টেকনিকের মাধ্যমে আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন এবং যত্নশীল হওয়ার!