আন্দালুসের শাহজাদি খ্রিস্টান মেয়ে ফ্লোরিন্ডা...! যার সম্ভ্রম ও শ্লীলতাহানি করেছিল এক খ্রিস্টান বাদশাহ। এর যথোপযুক্ত প্রতিশোধ গ্রহণ ও সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য স্পেনে ছুটে আসেন মুসলিম মুজাহিদগণ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাহসী মুসলিম সেনাপতি তারিক বিন জিয়াদ। পুরো স্পেন বিজয় করে নেন একের পর এক ধারাবাহিক অভিযান করে। স্পেনের মাটিতে উড্ডীন হয় কালিমার পতাকা। শুরু হয় স্পেনে প্রায় ছয়শত বছরের মুসলিম শাসনের সোনালী যুগের শুভযাত্রা।
ফ্লোরিন্ডা যদিও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছিলো; তবুও তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুসলিম মুজাহিদগণ এ কথা প্রমাণ করেছেন- মুসলিম জাতি সর্বদাই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল; সে যে ধর্মেরই হোক না কেনো। বরং নিজের শত্রুর মেয়ের ইজ্জত-সভ্রম ভূলুণ্ঠিত হোক, এটাও মুসলমানরা মেনে নিতে পারেন না; বরদাশত করতে পারেন না। মুসলমানরা এমন জাতি, যারা কোনো নারীর শ্লীলতাহানিকারীকে কখনই ক্ষমা করেন না; বরং সম্ভব হলে তাদেরকে উচিত শিক্ষা দিয়েই তার জবাব প্রদান করেন।
মুসলিম মুজাহিদগণ শাহজাদির শ্লীলতাহানির সমুচিত জবাব ও যথার্থ শাস্তি প্রদান করায় শাহজাদি ফ্লোরিন্ডা এতে বেশ প্রভাবিত হয়। আনন্দে আপ্লুত হয়। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তিতে ভরে ওঠে তার হৃদয়-মন। কিন্তু কিভাবে মুসলিম মুজাহিদগণ এক শাহজাদির ডাকে সাড়া দিয়ে পুরো স্পেন বিজয় করে নিলেন- সে এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনী। বাস্তব এ ইতিহাস হার মানায় কাল্পনিক উপন্যাসকেও- যা জানতে হলে একের পর এক বইটির পাতা উল্টাতে হবে আর হারিয়ে যেতে হবে আমাদের সোনালী অতীতের প্রশস্ত দুয়ারে........
এছাড়াও আরও কয়েকটি গল্প আছে এ বইটিতে। সবগুলোই ইসলামি ইতিহাসের সত্য ঘটনা। নিঃসন্দেহে এ গল্পগুলো পাঠ করে একজন পাঠক/পাঠিকা নিজেকে বড় সৌভাগ্যবানই ভাববে। গল্পের ছন্দে খুঁজে বেড়াবে নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল হারানো অতীত। ঘুরে ফিরবে অতীত রাজা-বাদশাদের বিভিন্ন মহল ও আঙিনায়....। ছুটে যাবে যুদ্ধের ময়দানে; রণাঙ্গনে। মনে হবে যেন সবই ঘটছে নিজের চোখের সামনে