সুমন মাঠ পেরিয়ে ভাঙা মন্দিরটার দিকে হেঁটে যায়। কিন্তু সুবলকে ও আর দেখতে পায় না। ও ভাবে সুমন হয়তো ওকে ডেকেই সেখানে চলে গেছে মাছ ধরতে। এতক্ষণে হয়তো মাছে ঝুড়ি ভরে ফেলেছে সুবল। ইস! এই মৌসুমে মাছ ধরার মজাটাই আলাদা। বাবার উপরে রাগ হয় সুমনের। কেন যে বাবা তাকে মাছ ধরতে যেতে দিতে চাই না।
হঠাৎ বিড়ালের ম্যাও ডাকে হুশ ফেরে সুমনের। সে দেখে ভাঙা মন্দিরের পিছনে চলে এসেছে সে। কিন্তু সুবল কই? বটগাছের নিচে যে কেউ নেই।
আবছা অন্ধকার। বাতাসে গাছের পাতায় শো শো শব্দ করছে। একটু শীত শীত লাগছে এখন ওর। সুমন জোরে জোরে ডাকতে থাকে সুবলকে। হঠাৎ কে যেন ভাঙা মন্দিরটার ভিতর থেকে সুবলের গলায় বলতে থাকে।
- সুমন এখানে আয়। দেখ কতো মাছ।
সুমন ভাবে সুবলই তাকে ডাকছে। সে আস্তে আস্তে মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে থাকে। মন্দিরের ভিতরে কেমন যেন গা ছমছমে অন্ধকার।
সুমনের পিছনে হঠাৎ একটা হুতোম পেঁচা ডেকে ওঠে। অমনি লাফিয়ে উঠে সুমন। পিছন ফিরে তাকাতেই তার বুকের ভিতর যেন বিদুৎ চমকে ওঠে।
সে দেখে ইয়া বড় একটা লোক। চকচকে লাঙলের ফলার মতো দাঁত। সারা মুখ পোড়া। একটা আস্ত মুরগী চিবতে চিবতে সুমনের দিকে আসছে। আর ভয়ঙ্কর কন্ঠে বলছে,
-সুমন! কিরে সুমন। মাছ ধরবি না? তোর লকলকে শরীর। কি কচি রে! কত দিন কচি মানুষের বাচ্চা খাই না। তাই বলে বিকট শব্দে হাসতে থাকে।
গল্প: কালি বাড়ির হুলো ভূত
ছোটবেলায় প্রতি রাতে এমন সব গা ছমে ছমে গল্প শুনে ভয়ে আমাদের শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠতো। আবার কখনো কখনো এতো হাসির গল্প শুনতাম যে হাসতে হাসতে পেটে খিল লেগে যেত। 'রুপকথার দিন রাত্রি' এই গল্পগ্রন্থটিতে শিশু -কিশোরদের জন্য ঠিক তেমন কিছু নির্বাচিত গল্পই রাখা হয়েছে। আশা করি গল্পগ্রন্থটি পড়ে ভালো লাগবে।