আমরা সকলেই নেককার ও পরহেজগার হ’তে চাই। মন ও প্রাণ উজাড় করে আল্লাহ্র ইবাদতের মাধ্যমে সফলতার আলোকিত সরণীতে দৃপ্ত পদে অগ্রসর হ’তে চাই। শয়তানের ধোঁকা ও প্রলোভনের জাল ছিন্ন করে, গুনাহের ঘোর অমানিশা থেকে ফিরে এসে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের অনুপম সৌভাগ্য লাভ করতে চাই। মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে বিজয়ের হাসি হাসতে চাই। সন্তুষ্ট আত্মার প্রশান্ত ছায়ায় ডুবে যেতে চাই। শহীদী তামান্না বুকে নিয়ে জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছিয়ে জান্নাতের সেই সুমহান স্থায়ী নিবাস পেতে চাই।
কিন্তু এ সকল আকাঙ্খা অধরাই থেকে যাবে যদি মহান রাব্বুল ‘আলামীন বান্দার জন্য তাওফীক্বের দরজা খুলে না দেন। এ দরজা যার জন্য খুলে দেওয়া হয় সে সফলতার শিখরে আরোহণ করে। আর যার জন্য এ দরজা বন্ধ থাকে তার হৃদয় আবদ্ধ হয় প্রবৃত্তি পূজার শৃঙ্খলে। জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও সে সত্যকে গ্রহণ করতে পারে না, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গুনাহ থেকে ফিরে আসতে পারে না, বহু চেষ্টার পরও ব্যর্থতার দহনে পুড়ে যায় তার অন্তর। তীব্র তৃষ্ণায় জ্বলতে থাকা হৃদয় খুঁজে পায় না রহমতের ফল্গুধারা।
সেজন্য তাওফীক্ব হ’ল সেই রহস্যময় চাবিকাঠি, যা হৃদয়ের বদ্ধ দুয়ার খুলে দেয়। সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে চড়তে শেখায়। এক্ষণে প্রশ্ন হ’ল— কীভাবে আমরা এই তাওফীক্ব অর্জন করব? কী সেই উপায় ও পদ্ধতি, যা আমাদেরকে আল্লাহ্র সাহায্য লাভের যোগ্য বান্দায় পরিণত করবে?
এই বইটি আলো ছড়ানো জোনাকির মত নীরব পথনির্দেশ, যা আপনাকে ইলাহী তাওফীক্ব লাভের উপায় শেখাবে। জীবনকে অহি-র আলোয় উদ্ভাসিত করবে। জাগিয়ে তুলবে অন্তর্বাগানে এক নতুন ফুলেল প্রত্যাশা।