আমার প্রথম বই 'চলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিচালনা'-এর প্রধান ভিত্তি ছিল আমারই 'লেকচার-নোট'। পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত থাকাকালীন এই লেকচার-নোট তৈরী করেছিলাম। আমার বর্তমান গ্রন্থ 'চলচ্চিত্র সম্পাদনার কলাকৌশল'-এর মূল ভিত্তিও এই 'লেকচার-নোট'। এই লেকচার নোটগুলির কিছু কিছু অংশ প্রবন্ধাকারে সিনে ক্লাব অব আসানসোল কর্তৃক প্রকাশিত সিনে সেলুলয়েড ত্রৈমাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সিনে ক্লাব অব আসানসোল-এর উদ্যোগী কর্মীবৃন্দের আন্তরিক চেষ্টায় এবং উক্ত ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শ্রীপ্রসুনকুমার দাস মহাশয়ের তৎপরতায় 'চলচ্চিত্র সম্পাদনার কলাকৌশল' আজ বই আকারে রূপ পেল। এই ব্যাপারে যাঁর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশী সহায়তা ও তাগিদ পেয়েছি-তিনি হলেন সিনে ক্লাব অব আসানসোল-এর প্রবীণ সদস্য, আমার বিশেষ বন্ধু-শ্রীশম্ভু ভট্টাচার্য। শম্ভুবাবুর অকৃত্রিম উৎসাহ ও ছাপার কাজে সবরকমের সাহায্য ব্যতিরেকে প্রবন্ধগুলিকে বই আকারে দেখার কোন সম্ভাবনা ছিল না।
আশা করি আমার প্রথম বইটির মতো এই দ্বিতীয় বইটিও আগ্রহী নবীন চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের কাজে লাগবে। উৎসাহী দর্শক ও সাধারণ পাঠকেরা এই বই থেকে উপকৃত হলে পরিশ্রম সার্থক মনে করবো। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, চলচ্চিত্র সম্পাদনার দুটো দিক। একটা যান্ত্রিক অন্যটা ক্রিয়েটিভ। দুটোরই বিশদ আলোচনা করতে চেষ্টা করেছি। হাতেকলমে অভ্যাস করলে প্রথমটা খুব তাড়াতাড়ি শিখে নেওয়া যায়। ক্রিয়েটিভ দিকটা চিত্রনির্মাতার একান্ত নিজস্ব, আমি কিছু কিছু আলোকপাত করবার চেষ্টা করেছি মাত্র।