কবি ও গল্পকার কাদের আব্দুলাহ দীর্ঘ সময় ধরে কবিতা ও গল্পের জমিনে নিজেকে নিবেদিত করে রেখেছেন। তিনি তাঁর কবিতায় দেশ, জাতি, সমাজ, শ্রেণিবৈষম্যবাদ, আর পোড়খাওয়া মানুষের যাপিত জীবনের নানা অনুপুঙ্খ বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনায় অনুরণিত করেছেন কবিতার পরতে পরতে। এছাড়া তাঁর কবিতায় এক ধরনের প্রেমময় লিরিক শিষ কেটে পথ করে গেছে।
কবিতায় রূপক, উপমা, শব্দবিন্যাসে এক ধরনের চমৎকারিত্ব ফুটে উঠেছে— যা পাঠককে নিশ্চয় আনন্দের বারতা পৌঁছে দেবে। ব্যক্তি জীবনে সাম্যবাদে বিশ্বাসী কবি তার কবিতায় মানবমুক্তির এক ধরনের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন অনুধাবন করা যায়। পাশাপাশি সমাজের নানান অসঙ্গতি ও অরাজক পরিস্থিতে প্রেমময় একটি সুন্দর মানবিক সমাজ কাঠামো বিনির্মাণের লক্ষ্যে মানব মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে তুলে এনেছেন ভিন্ন মাত্রিকতায়।
কবি কাদের আব্দুল্লাহ’র কবিতায় প্রেমের সিম্ফনি আমাদের মুগ্ধতার আবেশ ছড়াবে। অপরদিকে কবির কিছু চাওয়া পাওয়া পাঠককে স্নিগ্ধতার পরশে এক ধরনের সৌকর্যে উদ্ভাসিত করবে। আমরা তার কবিতা পাঠ করলে দেখতে পাই— প্রত্যাশার পৃষ্ঠা বোঝাই বিচিত্র সম্ভার,/ সতত সরষে ক্ষেতের মতো বিস্তীর্ণ আকাশ/ প্রতিদিন পূর্ণিমা চাঁদ লুটোপুটি খায় সুনীল সমুদ্রে/ সংসারের ভূ-ভাগে বয়ে চলা স্বর্গের চারটে ফোয়ারা/ প্রান্তর জুড়ে উদ্যান, ছায়া সুনিবিড়, পাখির কলরব,/ এমনি হাজারটা অলঙ্কার বিচিত্র কারুকার্য অঙ্কিত। কবি তার প্রত্যাশার পৃষ্ঠাজুড়ে চিত্রময়তায় বহুবিধ কথার সম্ভার তুলে ধরেছেন।
‘প্রত্যাশিত সুখের কঙ্কাল’ পাঠে নিশ্চয় পাঠক আনন্দের খোরাক পাবেন— এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।