ফিল্ম সেন্সরের আধা-আইনী ব্যাপার ধারণাটি একটি আধ (Quasi-Judicial Matter)। ব্রিটিশ সরকার দি ইন্ডিয়ান সিনোটেগ্রাফি এ্যাক্ট ১৯১৮ খ্রি. ১লা জুলাই সেন্সর প্রক্রিয়া চালু করে এ প্রসংগে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের গোপন দলিল 'কৌশলগত এবং অন্যান্য কারণে এই খসড়া আইনের রাজনৈতিক তাৎপর্যটিকে প্রকাশ্যে অশালীন প্রদর্শনীর নিবারণের মতো কারণগুলিকেই সর্ব সমক্ষে তুলে ধরা হবে।
এ কারণে ব্রিটিশ আমলে এ ব্যাপারে অতি সতর্কতার সাথে নির্বাহী বিভাগকে বিচার বিভাগের আওতার সম্পূর্ণ বাইরে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিচার বিভাগ ও তা নির্বাহী পাতার বিভাগের ওপর চাপিয়ে দেয়। এ ধরনের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ গণমাধ্যমে পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় ধরে সেন্সরশিপের মূলসূত্র হিসেবে স্থায়ী আসন লাভ করে। ফলত শ্লীল অশ্লীলতা কিংবা অন্য সকল আর্থ-সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের আড়ালে রাজনৈতিক সুবিধাবাদকে ধরে রাখার জন্য ব্রিটিশ উপনিবেশিক কুটচালকে কাজে লাগানোর বস্তবতায় পর্যবষিত হয়। সক্ষ্য করার বিষয় হলো ব্রিটিশ প্রণীত গোপন ও প্রকাশ্য রাজনৈতিক বাস্তবতার বিষয় কোন ক্ষেত্রেই সংবিধানের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নামক জড়ের আলোকে সংশোধন করা হয়নি। বস্তুতঃ এ কারণে আইন ও বিধিতে এবং সুস্পষ্টভাবে নীতিমালা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অশালীন সংলাপ, অশ্লীল নৃত্য অগভঙ্গি, কচিহীন গান ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও চলচ্চিত্র ছাড়পত্র পেয়ে যায়। ভেতর কাঠামোর অর্থনৈতিক কারণ এ ক্ষেত্রে উপর কাঠামোর রাজনীতিকে টেক্কা দিয়েছে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ৩৯-এর আলোকে মানুষের বাক-স্বাধীনতার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে প্রযুক্ত করা আবশ্যক। তবে মাত্রাহীন বাক-স্বাধীনতা কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি Innocent Musilms নামক চলচ্চিত্র। এ কারণে বাক-স্বাধীনতা যেন অন্যের স্বাধীনতা খর্ব না করে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।