কুরআন যেহেতু স্থান-কাল ও ভাষা-বর্ণ নির্বিশেষে জগতের সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য নাযিল করা হয়েছে, তাই এর রয়েছে সর্বাঙ্গীন পূর্ণতা। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় যত রকমের অনুষঙ্গ আছে, সব ব্যাপারেই কুরআনের রয়েছে যথোপযুক্ত দিকনির্দেশ। তার সে হিদায়াত যেমন নাযিলের যুগে প্রযোজ্য ছিল, তেমনি আজও সমান প্রযোজ্য এবং ভবিষ্যতেও সমান প্রযোজ্য থাকবে। যেমন তা আরব জাতিকে পথ দেখানোর পূর্ণ যোগ্যতা রাখে, তেমনি তা অনারব জগতের সকলকেও নিজ হিদায়াতবলয়ে ধারণে সক্ষম। পার্থিব জ্ঞান-বিজ্ঞানে মানুষ যত উৎকর্ষই সাধন করুক, তার জীবন থেকে কুরআনী নির্দেশনার প্রাসঙ্গিকতা কখনওই ফুরাবে না। মানুষ এমন কোনও সময়কালের সম্মুখীন কখনওই হবে না, যখন তার এ কথা বলার যুযোগ হবে যে, আমাদের জন্য কুরআন তার উপযোগিতা হারিয়ে ফেলেছে, আমরা তার আওতা থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি এবং আমরা এমন এক সভ্যতায় পা রেখেছি, যেখানে কুরআনের দেওয়ার কিছুই নেই। বস্তুত কুরআন এক চির আধুনিক গ্রন্থ। এর বিধানাবলি সর্বকালোচিত। সকল যুগের সকল প্রয়োজন সমাধার পূর্ণ যোগ্যতা রয়েছে। কিয়ামত পর্যন্ত মানবজীবনের সম্ভাব্য সকল বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ মূলনীতি এতে বিধৃত হয়েছে। কুরআন ঘোষণা করছে-