আনন্দরজনির আত্মবিস্মৃত উপাখ্যান (হার্ডকভার)

আনন্দরজনির আত্মবিস্মৃত উপাখ্যান কবি এম এ ওয়াজেদের কাব্যসাধনার এক অনন্য সংযোজন। এখানে কবি শব্দের নির্মাতা মাত্র নন, বরং এক দার্শনিক, এক ইতিহাস-সচেতন মানবিক কণ্ঠস্বর। এই কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতা একদিকে যেমন অন্তর্জাগতিক অনুভবের প্রতিচ্ছবি, অন্যদিকে তেমনি সামাজিক ও রাষ্ট্রিক অসংগতির বিরুদ্ধে কবির নীরব অথচ দৃপ্ত উচ্চারণ।

শিরোনামটি নিজেই একটি বহুস্তরীয় চেতনার বহিঃপ্রকাশ। ‘আনন্দরজনি’Ñএ যেন এক নারী-প্রতিমা, এক আদর্শ মানবিক সত্তা, আবার কখনো এক গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার রূপক। তার ‘আত্মবিস্মৃত’ হওয়া মানেই ব্যক্তির, সমাজের এবং রাষ্ট্রের স্মৃতি-বিস্মৃতির দলিল। কবি এখানে ইতিহাস ও বর্তমানকে মিলিয়ে এক সাংগঠনিক প্রতিরোধের কাব্যরূপ নির্মাণ করেছেন।

এই কাব্যে প্রতীক ও চিত্রকল্পের ব্যবহার যেমন নিপুণ, তেমনি ভাষার বিন্যাসেও রয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী কাব্যপ্রযুক্তি। পরাবাস্তব, বিমূর্ততা, চেতনাপ্রবাহ ও ধ্বনিগত ঘনত্ব কবিতাগুলোকে এক নতুন রূপে প্রকাশ করেছে। কবি কখনো একা, কখনো সমষ্টির কণ্ঠ হয়ে যন্ত্রণাকে উচ্চারণ করেন, যা পাঠকের চেতনায় প্রশ্ন তোলেÑআমরা কাকে হারাচ্ছি এবং কেন?

এই গ্রন্থ পাঠমাত্র বোঝা যায়Ñএটি নিছক কবিতার সংকলন নয়, বরং এ এক দার্শনিক উপাখ্যান; এক আত্মস্মরণীয় নৈতিক নথিপত্র। আমি বইটির বহুল প্রচার কামনা করছি।

মো. আব্দুল্লাহ

বিএসএস (অনার্স), এমএমএস

ফোকলোর বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়