ড্রপআউট শব্দটি আমি প্রথম শুনি সম্ভবত ৮/৯ বছর আগে এমটিভিতে একটি অনুষ্ঠানে। এমটিভি মিউজিক চ্যানেল সেই ছোটবেলা থেকেই আমি পছন্দ করতাম। রোডিজ আমার খুবই পছন্দ এবং এখনও সুযোগ পেলে দেখি। ড্রপআউট অনুষ্ঠানটি একটি প্রতিযোগিতা ছিল যতদূর মনে পরে, যেখানে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কারণে বাদ পরা মানুষজনদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়েছিলো তারা কেন, কিভাবে, কি কারণে, ড্রপআউট হলো, এখন কি করে, সফল না বিফল, ইত্যাদি তাদের জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল। আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখেছিলাম। তখন থেকেই ড্রপআউট বিষয়টি আমার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল।
ড্রপআউট শব্দের আভিধানিক অর্থ আমরা জানি যে কোনও কারণে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়া, বাদ পরা বা শেষ করতে না পারা নারী পুরুষ। ড্রপআউট সাধারণত মানুষেরা নানা কারণে হয় বা হতে পারে। ড্রপআউট হলেই যে জীবন শেষ বা হতাশায় ডুবে যাবে তা কিন্তু না। কারণ জীবন অনেক বড়, বহুমাত্রিক একই সাথে বহুমুখী, যা এক যায়গায় কখনো থেমে থাকেনা। মানুষ যখন সরল এবং সোজা পথে বাধাগ্রস্ত হয়, তখন সবসময়ই জীবনযাপনের বিকল্প পথ বা উপায় খুঁজে নেয়। সবাই হয়তো সফলতার দেখা পায়না বা হয়তো পায়। যদিও সফলতার সংজ্ঞা খুবই আপেক্ষিক এবং পরিমাপ করা সম্ভব নয় কখনো। আবার অনেকেই ড্রপআউট হয়েও দেখা যায় বিভিন্ন উপায়ে সাফল্য এবং সমৃদ্ধি অর্জন করে। কিন্তু প্রতিটি মানুষের সাফল্যের পিছনে থাকে প্রচুর বাঁধা ও বিপত্তি পার করার ইতিহাস। সহসাই সফলতা আমরা যা চোখে দেখি বা যা দেখা যায়, তা পেতে অনেক বেশি পরিশ্রম বা কষ্ট থাকে যা আমরা দেখতে পাইনা। কারন যেকোনো কিছু অর্জন কখনোই সহজসাধ্য নয়।
ড্রপআউট মানুষেরা সাধারণত কিছুটা আলাদা এবং গতানুগতিক জীবনধারা থেকে কিছুটা অন্য ধারায় পরিচালিত হয় এবং তাদের একটি আলাদা গোত্র বা শ্রেণি হিসেবেই কিন্তু দেখা হয়, আমি যা ফিল করি বা মনে করি। যেকোনো ভাবেই দলছুট হয়ে যাবার কারণে অন্য সকলের থেকে দূরে চলে যেতে হয়। বন্ধু বান্ধব, ভাই ব্রাদার, এমনকি পরিবার পরিজন, আত্মিয় সজন থেকেও দূরত্ব হয়ে যায়। শুধুমাত্র অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে এটি আমাদের সমাজ ব্যবস্থার খুবই পরিচিত পরিস্থিতি যা শহরের বা গ্রামের ক্ষেত্রে তেমন কোন পরিবর্তন দেখা যায়না। আমরা ধরেই নেই যে ছেলে বা মেয়েটি যখনই তার স্বাভাবিক জীবনযাপন প্রক্রিয়া থেকে সরে যায় বা বের হয়ে যায়, সে অবশ্যম্ভাবী আর হয়তো জীবনে কিছু করতে পারবেনা বা কিছু একটা করার মতো অবস্থায় থাকে না। ভালো কিছু আশা করাতো অনেক দূরের ভাবনা। এই শ্রেণির প্রতি আমাদের নেতিবাচক ধারণা এবং মানসিকতার কারণ নিশ্চয় দীর্ঘ দিনের সংগত অনেক এবং অজস্র উদাহরণ। কোন রকম টেনে টুনে জীবনে কিছু একটা করা, মানে আমরা যা বলি কোনভাবে দিনে এনে দিনে খাওয়া, দিন মজুরি করার মতো। যেখানে নিজের রোজগার করা দূরহ হয়ে পরে, সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে চিন্তা করারতো কোন অপশনই নেই। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা যারা পেরুতে পারেনা, মানে সনদপত্র নেই, তারা কিভাবে চাকরি বাকরি বা ভালো কোন কাজ যোগাড় করবে, তা আমরা কোন ভাবেই বুঝে উঠতে পারিনা।
এখন আমি যেভাবে আমাকে ড্রপআউট হিসেবে মনে করি বা কিভাবে আমার জীবনকে এই ক্যাটাগোরিতে বিবেচনা করি তা ব্যাখ্যা করছি। যদিও আমি মোটামুটি ভাবেই স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এখানে আমার উপলব্ধির জায়গাটা কিছুটা ভিন্ন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি ব্যবসা বা উপার্জন করা, বিয়ে-শাদি, বউ, বাচ্চা বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, দেশ-জাতি, ধর্ম, দায়িত্ব-কর্তব্য এগুলো সবই আমাদের জীবনের ধাপ বা স্তর, একটির পরে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, । এছাড়া সবার জীবনে যে মূল্যবান সম্পর্কগুলো আছে সেগুলো মূলত দায়িত্ব-কর্তব্য এবং আদান-প্রদান নির্ভর। এই সবকিছুর মধ্য দিয়ে মেনে চলে আমাদেরকে জীবনযাপন করতে হয়। জীবনের যেকোনো বয়সে এবং সময়ে, যেকোনো ভাবে যদি এই পথ চলায়, কোন দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাঘাত ঘটে যায়, তাহলেই কিন্তু জীবনের মোড়ে মোড়ে নানা টানাপোড়েন লেগে যায়। সমাজ, সম্পর্ক এবং সকল পরিবেশ পরিস্থিতির উপর মানুষ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সব কিছু যেন অনুকূল থেকে প্রতিকূল হয়ে ওঠে।
দুর্ভাগ্যক্রমে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা আমাকে আমার নিয়মিত জীবনযাপন থেকে, পরিবার থেকে, সমাজ থেকে আলাদা এবং অনেক কিছু থেকে অপারগ করে দিয়েছিল। মেরুদন্ডে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যখন আমি মৃত্যুর খুব কাছাকাছি, তখন সৃষ্টিকর্তা কোন এক অজানা কারণে আমাকে আরেকবার সুযোগ দেন এই ধরনীতে ফিরে আসার। কিন্তু আমি বাবা, স্বামী, পুত্র, ভাই, কলিগ, বন্ধু হিসাবে এবং আমার ভবিষ্যত, কর্মজীবন, ইচ্ছে, আকাঙ্ক্ষা, সমস্ত কিছু থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমার স্বপ্ন এবং লক্ষ্য থেকে বহুদুরে সরে গিয়েছিলাম। সবকিছু ছিল চরম অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এতটাই আকস্মিক যা ভাষায় প্রকাশ করা বেশ কঠিন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে নানাবিধ সামাজিক, অর্থনৈতিক,পারিবারিক প্রতিকূলতা আমাকে পদে পদে চরম বিষাদগ্রস্থ করে তোলে। মানসিক হতাশায় ডুবে আমার চারিদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার, এক বিশাল দেয়ালে জীবন আবদ্ধ এবং আটকানো ছিল। বিদেশে কাজের প্রয়োজনে এসে একি হয়ে গেল, যা মেনে নেয়া অসম্ভব। দেশে আমার ফ্যামিলি, সন্তান, স্ত্রী, বাবা মা, অফিস, দায়িত্ব, কত কমিটমেনট, কত স্বপ্ন, কত অমিমাংসিত কাজ। কিভাবে এখন কি হবে? আমার ফেলে আসা কাজ, দায়িত্ব কে পালন করবে? কত কিছু থেমে থাকবে? পিছিয়ে যাবে? এসবের আমি কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এ যেন কোথাও কেউ নেই, আর কেউ কিছু জানেনা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ড্রপআউটদের মতো আমিও সেই সময় জীবনের অর্থ, গতি এবং খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি ভেবে নিয়েছিলাম যে আমার জীবনের গল্প এখানেই শেষ। কোন লক্ষ্য ছাড়া এবং উদ্দেশ্যবিহীন এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কিছু সময়ের জন্য আমাকে সম্পুর্ণরুপে একজন ব্যর্থ মানুষে পরিণত করেছিল। তাই সংগত কারণেই দুর্ঘটনার পর হতে আমি নিজেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন, পরিবার, সমাজ থেকে ড্রপআউট হিসাবে বিবেচনা করি। কারণ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ফলে আমি যেমন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারিনা তেমনি আমি সংসার, পরিবার, সমাজের
প্রতি সকল প্রকার দায়িত্ব করতব্য পালনে অক্ষম।
কিন্তু খারাপ সময় খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, যদিও আমার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এবং জটিলতা চিরস্থায়ী ছিল বা আছে। আমার মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল বেশ কিছু সময় পরে, অল্প অল্প করে। দৈহিক অসুস্থতাকে জয় করা সম্ভব মানসিক শক্তির মাধ্যমে সেটা বুঝতে পেরেছিলাম বেশ অনেক সময় পরে। মেলবোর্নের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা, পুনর্বাসন কেন্দ্র, আবহাওয়া, পরিবেশ সবকিছুই ইতিবাচক ছিল আমার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার উন্নতিসাধনের জন্য। বিশেষকরে আমি যখন থেকে মেনে নিয়েছিলাম যে আর কখনোই হাঁটাচলা করতে পারবোনা, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবোনা, তখন থেকে আমার ভিতরে পরিবর্তন শুরু হয়, যা ছিল খুবই জরুরী আমার জন্য। আমার শারীরিক অক্ষমতা এবং যাবতীয় অপারগতা মন থেকে গ্রহণ করাটাই ছিল আমার নতুন জীবনের মূলমন্ত্র। আমার প্রধান ফিজিওথেরাপিস্ট মার্ক ম্যাকডোনালড আমাকে একদিন বলেছিল, হুইল চেয়ারে বসেও তুমি সফলতার অনেক উচ্চতায় যেতে পারবে, যদি তুমি চাও। কিন্তু তোমাকে অনেক এবং অনেক কষ্ট করতে হবে নতুন এই শরীরকে হুইলচেয়ারে করে ঠেলে ঠেলে এগিয়ে নিতে চাইলে।
অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার গভীরতার উপর নির্ভর করে একেকজন মানুষের জীবন একেক রকম ভাবে এলোমেলো হয়ে যায়। শারীরিক সমস্যা তখন জড়িয়ে যায় আমাদের পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যার সাথে। সবকিছু বন্ধ হয়ে যায় থেমে যায় এবং শেষ হয়ে যায়। আমার, শারীরিক জটিলতার মাত্রা এতই বেশি ছিল যে বা এখনও আছে, যা তখন আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছিল আর বোধহয় সম্ভব না, আমি আর কোনোভাবেই পারবোনা। এক এক করে শারীরিক জটিলতার বেশকিছু বিষয় আমাকে চরমভাবে হতাশ আরও গভীরে ঠেলে দিয়েছিল। যেমন যেদিন আমি শুনলাম যে আর কোনদিন হাঁটা চলা করতে পারবোনা, এমনকি দাঁড়াতেও পারবোনা এবং আমার বাথরুম (পায়খানা এবং প্রস্রাব) নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমি চিরকালের মতো হারিয়ে ফেলেছি, সেদিন আমি আরও চরমভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি চরমভাবে বিচলিত এবং বিক্ষিপ্ত ছিলাম আমার ভাগ্যের উপর। শরীরের বিশেষ প্রয়োজনীয় এই বিষয়গুলো আমি কিভাবে ম্যানেজ করব তা আমি কোন ভাবেই বুঝতে পারছিলাম না। একটি বিশাল দেয়াল আমার সকল স্বপ্নগুলো এবং ইচ্ছাগুলোর পথের মাঝে বিশাল বাধা হয়ে দাড়িয়ে গেল এবং আমার সকল চিন্তা চেতনা পুরোপুরি লোপ পেয়ে গিয়েছিল। চারিদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। কোনোভাবেই কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলাম না আমার বাকি জীবনের। আমি সারা জীবন এই হুইল চেয়ারে কিভাবে চলব কি করব, কিভাবে করব, আমি কোন কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
ড্রপআউট মানেই যে জীবন ব্যর্থ, সবকিছু শেষ, এসব ধারণা কিন্তু অনেকেই ভুল প্রমাণ করেছে আমরা জানি। লাখো উদাহরণ আছে পৃথিবীতে, দেশে বিদেশে, যেখানে ড্রপআউট নারী পুরুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সফল হয়েছে বিভিন্ন পেশায়, দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে অন্য সকলের জন্য। কেউ কেউ সফলতার এত উঁচুতে পৌছেছেন যা কেউ কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি। আরেকটি ব্যাপার হলো এই শ্রেণির মানুষেরা যখন তাদের সিলেক্টেড এরিয়ায় সফল হয়, তখন তা অনেক বেশি নজরে আসে এবং আলচ্য বিষয়ে পরিনত হয়। অনেকেই অনেক অনুপ্রেরণা লাভ করে এই সব মানুষদের জীবনের গল্প দেখে, পড়ে অথবা শুনে। আমি নিজেও অনেক এবং অনেক প্রভাবিত এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি কিছু মানুষের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে চরম বিষাদগ্রস্থ অবস্থা থেকে কিভাবে আবার তারা ফিরে এসেছে জীবনের চেনা পথে, যা একসময় মনে হয়েছিল কোন ভাবেই সম্ভব নয়। দৃঢ় সংকল্পের কোন বিকল্প নেই। গন্তব্যের পরিচিত রাস্তা যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন ভিন্ন পথ বেছে নিতে হয় গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য। মূল বিষয় হলো গন্তব্যে পৌঁছানোর ইচ্ছে থাকতে হবে। আমাকে যেমন খুঁজে নিতে হয়েছে ভিন্ন পথ আমার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার জীবন সংগী সোনিয়াকে বিপদে পাশে থাকার জন্য সবসময়। মেলবোর্নে বা পরবর্তীতে যারা আমার খারাপ সময়ে পাশে ছিলেন তাদের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা আমার নেই। আর কিছু মানুষ যাদেরকে আপন ভাবতাম এবং আমার খারাপ সময়ে যারা পাশে ছিলেননা, তাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ, আমাকে মানসিক ভাবে শক্ত অবস্থান করে দেয়ার জন্য।
ড্রপআউট স্টোরি আমার জীবন যুদ্ধের কিছু আবেগপূর্ণ এবং কষ্টসহিষ্ণু অধ্যায়ের গল্প। আমি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরীসিম সংগ্রাম, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, অমিমাংসিত হিসেব নিকেশ, সবকিছু তুলে ধরতে চেয়েছি। বিশেষত আমার মানসিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া।কারণ চরম বিপদগ্রস্ত, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে আমি মানসিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, ধারাবাহিকভাবে মানসিক শক্তি সঞ্চারের মাধ্যমে। আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি যে ড্রপআউট বিষয়টি সম্পুর্ণ নিজস্ব মানসিক বোঝাপরা। আমি নিজেকে দুনিয়ার কাছে কিভাবে উপস্থাপন করবো তা আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
আমার অনুভূতি, আবেগ এবং উপলব্ধি গুলো এখানে ভাষায় প্রকাশ করেছি, যা শারীরিক, মানসিক বা অন্য যে কোন কারণে হতাশাগ্রস্ত মানুষদের উপকারে আসতে পারে এবং জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে সাহস যোগাবে।