মানুষের জীবনের প্রকৃত মহিমা লুকিয়ে আছে মানবতার গভীরে। ধন-সম্পদ, ক্ষমতা কিংবা জৌলুস ক্ষণস্থায়ী একদিন তা মিলিয়ে যায় সময়ের স্রোতে। কিন্তু মানবতার আলো, দয়া ও ভালোবাসার দীপ্তি চিরকাল অম্লান থেকে যায় মানুষের অন্তরে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করিÑমানুষের প্রকৃত অমরতা প্রতিষ্ঠিত হয় তার দয়া, ভালোবাসা ও ত্যাগের মহিমায়।
“মানবতায় অমরতা” আমার দীর্ঘদিনের ভাবনার সঞ্চয়, হৃদয়ের একান্ত আকাক্সক্ষার রূপায়ণ। এই গ্রন্থে আমি চেষ্টা করেছি মানবতার বহুমাত্রিক রূপ, তার অপরিহার্যতা ও অনন্ত শক্তিকে শব্দের বুননে প্রকাশ করতে। আজ যখন সমাজ বিভক্তির অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন কেবল মানবতারই আলো পারে মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে আনতে।
এই বইয়ের মাধ্যমে আমি পাঠকের হৃদয়ে একটি বার্তাই পৌঁছে দিতে চাই
মানবতা কোনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা ভূগোলের সীমারেখায় আবদ্ধ নয়; এটি বিশ্বমানবতার অটুট বন্ধন, যা আমাদের সবাইকে একই সুতায় গেঁথে রাখে।
আমার একান্ত কামনাÑএই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা পাঠকের হৃদয়ে মানবতার এক একটি বীজ বপন করুক। যদি অন্তত একজন পাঠকের মনও মানবতার আলোয় উদ্ভাসিত হয়, তবে আমার এ প্রয়াস সফল বলে মনে করব।
এই বই প্রকাশের পথে যাঁরা আমার শক্তি, সাহস ও আশ্রয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের প্রতি জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা।
বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাইÑশতরূপা মানবিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা, ইতালি প্রবাসী হাজী মোঃ জসীম উদ্দিনের প্রতি। তাঁর নীরব ত্যাগ, অগাধ মানবিকতা ও নিরলস সহযোগিতা ছাড়া এই প্রয়াস আলোর মুখ দেখত না।
একই সঙ্গে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি ফাউন্ডেশনের সম্মানিত মহাসচিব, ইতালি প্রবাসী মানবতার ফেরিওয়ালা মোজাম্মেল হোসেন মোল্লাকে, যিনি অক্লান্ত প্রেরণা, সাহস ও উদ্দীপনা দিয়ে আমার পথচলাকে আলোকিত করেছেন।
তাঁদের এই অমূল্য অবদানের জন্য আমার হৃদয় প্রার্থনায় ভরে ওঠে
আল্লাহ তাঁদের জীবনকে সমৃদ্ধ করুন, তাঁদের পদক্ষেপকে মানবতার আলোকবর্তিকা বানান, এবং মানবতার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি করুন।