শরীরবৃত্তীয় ও মানসিক উন্নতির মোক্ষম সময় যৌবনকাল, যার সূচনা শৈশব থেকেই। নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন সুস্থ জীবন গঠনে সঠিক নির্দেশনার পাশাপাশি প্রয়োজন যথাসময়ে মৌলিক চাহিদার যোগান দেওয়া। অথচ পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় অর্থের গুরুত্ব বোঝাতে প্রায়ই কিছু মৌলিক চাহিদাকে উপেক্ষা করা হয়ে থাকে, কিন্তু সুস্থ্য জীবনের জন্য তা অপরিহার্য।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মহান আল্লাহ নর-নারীকে পরিপূরক করে তাদের অধিকার ও কর্তব্য সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। দৈনন্দিন জীবনে পথ চলার নির্দেশনার পাশাপাশি সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাও সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। অথচ সৃষ্টিকর্তার বিধানে ভুল ধরতে ব্যস্ত তার সৃষ্টিরই একটি অংশ। অভিযোগ হিসেবে উপস্থাপন করে- একই পিতা-মাতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও ছেলেরা, মেয়েদের দ্বিগুণ সম্পত্তি ভোগ করে! জীবিতাবস্থায় চার বিবি, মরলেও সত্তর হুরের আলিঙ্গনে মত্ত থাকার অধিকার পুরুষদের! যত বিধি-নিষেধ কেবল নারীর উপর! নারীদের পর্দার আড়ালে রেখে ভোগ-বিলাসিতায় মগ্ন থাকার অধিকার শুধুই পুরুষদের! পুরুষদের কল্যাণেই ধর্ম নিবেদিত! ইত্যাদি অভিযোগগুলো হরহামেশা শোনা যায়। আবার মৌলিক চাহিদার কোন কোন অংশ উপেক্ষা করার প্রবণতাও প্রকটভাবে লক্ষ করা যায়।
অধিকার রক্ষায় জাগতিক অনেক বিধান কিংবা ভালো পরামর্শক হন্যে হয়ে খুঁজে থাকি। কিন্তু প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন ফরজ হওয়া স্বত্ত্বেও এসব বিষয়ে আমাদের উদাসীনতা চরম। ইসলামের নির্দেশাবলী বিশেষকরে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সুষ্ঠু জীবনযাপনে মৌলিক চাহিদার গুরুত্ব, নারীর অধিকার ও মর্যাদা সংক্রান্ত বিষয়াদি আমাদের সমাজে সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণে প্রচলিত। ভ্রান্ত ধারণার কারণে স্বাভাবিকভাবেই হৃদয়ের গহীণে জমতে থাকে ক্ষোভ ও আস্থাহীনতা। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে জাগতিক যেকোন বিধানের তুলনায় ইসলাম শুধু নারীদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিতই করেনি বরং সম্মানিতও করেছে সবচেয়ে বেশি। পার্থিব বিষয়ের আনুষঙ্গিক গল্প ও তথ্য সংযোজন করে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার, বিবাহ, জান্নাতী হুর, নারী- পুরুষের শালীনতা, মানুষ হিসেবে একজন নারীর মর্যাদা ইত্যাদি বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ‘র আলোকে প্রিয়জনদের নিকট সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরার প্রয়াসে