প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একদিন শেষ বিদায় আসবে। কেউ কি বলতে পারবে কার শেষ বিদায়ের শেষ পরিণতি কেমন হবে?
আতর, গোলাপ, বরই পাতা, গরম পানি সবার ভাগ্যে আছে তো? সাড়ে তিন হাত ভূমিই বা পায় কতজন! কত মৃত্যুর করুণ কাহিনী রয়েছে।
মর্গ থেকে লাশ উধাও হয়ে যাচ্ছে।
কত মৃত্যু বেওয়ারিশ হিসেবে ভেসে যাচ্ছে নদীর জলে, ঠিকানা বিহীন তেপান্তরে।
“তমালের শেষ বিদায়” বড়ই মর্মান্তিক ছিল।
সেই মর্মান্তিকের রহস্য কি?
যাই হোক। গল্প প্রসঙ্গে যাওয়া যাক।
গল্পটা শুরু হয়েছে ভয়াবহ একটা রোগ নিয়ে। রোগটা আর কারো না।
একটা যুবকের। যে যুবক এই গল্পে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করছে। এই ছেলেটির গভীর ভাব হয় গ্রাম গঞ্জে হেঁটে হেঁটে একতারা হাতে গান গাওয়া বাউল শিল্পী কোকিলার সাথে। কোকিলা একজন বাউল শিল্পী হলেও তার গানে গ্রামের মানুষ ইহকাল ও পরকালের হিসাব নিকাশ খুঁজে পায়। এই কোকিলা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না কখনোই। কন্ঠে তার প্রতিবাদী আওয়াজ।
কে এই কোকিলা? গাঁও গ্রামে গান গেয়ে বেড়ানো একটি মেয়ে এতটা দুঃসাহসী হয় কী করে? এতটা প্রতিবাদী হওয়ার সাহস কোথায় পেল কোকিলা?
জীবনযুদ্ধে কোকিলা কখনোই পরাজিত হতে চায় না।
আলো-আঁধার নিয়েই একটি জগৎ সৃষ্টি। সেখানে দিনের প্রকাশ্য আলোতে কোনো মুখোশ না থাকলেও, অন্ধকারে মুখোশধারীর কমতি নাই।
হিম্মত, দুঃসাহস কিংবা সাহসিকতা একটি নারীকে অনেকটাই বিপদ থেকে রক্ষা করে।
বাবা তিতাস বয়াতী তার মেয়েকে এমন শিক্ষাই দিয়ে গেছেন।
শহরের ছেলে তমাল কি দেখে কোকিলার প্রেমে দিওয়ানা হলো? একজন অশিক্ষিত বাউল মেয়ের সঙ্গে কী কখনো শহরের উচ্চ শিক্ষিত ছেলের মিল হয়?
প্রেমের পরিণতি কী হলো অবশেষে?
একদিকে কোকিলা, অন্যদিকে ফুপাতো বোন টুম্পা।
এদিকে ভয়াবহ রোগে তিলে তিলে ছেলেটির রঙিন পৃথিবী ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে।
অথচ কী নিষ্ঠুর ছেলেটির নিয়তি, মৃত্যুর এক সেকেন্ড আগেও ছেলেটি জানতে পারলো না সে মরে যাবে।
তার একটি ভয়াবহ রোগ হয়েছে।