একটি খুবই ইম্পর্ট্যান্ট বিষয় তুলে ধরছি। বিষয়টা মনোযোগ সহকারে শোনা দরকার।
এই শুরু করলাম।
এই গল্পে একজন ভয়ংকর মানুষের কথা একটুখানি না বললেই নয়। বলা জরুরি বলে মনে করছি। মূলত ভয়ংকর মানুষরা খুবই নীরবে, পলেটিক্সে তারা তাদের মনের ইচ্ছা কিংবা মনোবাসনা পূর্ণ করে থাকেন।
সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষ গুলোকে মূলত আমরা অনেকেই চিনি না কিংবা চেনার চেষ্টাও করি না হয়তো।
সাধু সেজে থাকা মানুষ গুলোই আমাদের সমাজে সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষ।
যাদের আরেকটি রূপ থাকে। যেটাকে বলা হয় ভালো মানুষের অন্তরালে
ভয়ংকর রূপ। ভূত-প্রেতের চেয়েও ভয়ংকর।
সাইকোলজিতে ব্যাখ্যা আছে, ভূত-প্রেত সত্য নয়।
তবে আমাদের সমাজে মুখোশধারী, ভয়ংকর কালো জাদুকর যে আছে, এটা তো সত্য, নাকি?
একদিন এমনই একটি কালো জাদুকরের আশ্রয় নিয়ে ছিল নিপা নামের মেয়েটি।
এক প্লেট ভাতের আশায় তার একটি শিশু বাচ্চাকে কোলে নিয়ে এক ভদ্রলোকের গাড়িতে উঠে চলে যায় তার বাসায়। সেদিন কি ঘটেছিল নিপার সাথে?
পরদিন ডাস্টবিন থেকে কী পেয়েছিল পুলিশ?
যাক, নিপা মেয়েটির একটু পারিবারিক কথা না বললেও বিষয়টা অস্পষ্ট থেকে যায়।
এই শুরু করলাম।
খুব গরিব ঘরে জন্ম নিপার। ঘরে সৎ মা। তবুও মোটামুটি পড়াশোনা করেছে ও। কিন্তু, তবু জীবনভর দুঃখের কোনো শেষ থাকল না তার। সৎ মা এ কার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করল? এ যেন কাকের গলায় সোনার হার! না, নিপা সৎ মায়ের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করবে না বলে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। ও মনে মনে যাকে এতদিন ধরে পছন্দ করে আসতো সে পছন্দের মানুষ মোহনের কাছে ছুটে যায়। মোহনকে রিকোয়েস্ট করে, সে যেন তাকে বিয়ে করে। নয়তো ওর সৎ মা টাকার কাছে বিক্রি হওয়া এক লোকের গলায় তাকে ঝুলিয়ে দিয়ে তার সর্বনাশ করবে। যে কিনা বয়স্ক। ঘরে আরও দুই দুটি বউ রয়েছে তার। নিপা যখন ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে মোহনের কাছে আশ্রয় চাইল। মোহন নিপার অনুনয়ের মর্যাদা দিতে পারলেন না। নিপার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় মোহন।
দীর্ঘ ১০ বছর পর হঠাৎ একদিন রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে মোহন এ কাকে দেখতে পেল? একটি দেড় বছরের বাচ্চা কোলে নিয়ে ছিঁড়া, পুরাতন একটা কাপড় পরনে ট্রাফিক সিগন্যালে ভিক্ষা করছে একটি মেয়ে। মেয়েটি আর কেউ নয়, নিপা। যে নিপা একসময় মনে প্রাণে ভালোবাসতো এই মোহনকে। সঙ্গে সঙ্গে মোহন প্রচণ্ড হতবাক হলো। ভাবনার সাগরে ডুবে গেল-নিপার এ পরিণতি কেন? কোথায় ওর ঘর-সংসার? ওর স্বামী নামক মানুষটিই বা কোথায়?