নবীপত্নী, সাইয়্যিদায়ে কায়েনাত, উম্মুল মুমিনিন, আল্লাহর হাবিবের প্রিয় সঙ্গীনী হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাযিয়াল্লাহু আনহা সেই সিদ্দিকি কাননে প্রথম নয়ন যুগল খুলেছিলেন যেখানে সর্বাগ্রে ইসলামের হৃদয় নিংড়ানো ও মনোলোভা সুবাস পৌঁছেছিল। যে বাগান শুরু থেকেই নববী সূর্যের কিরণে আলোকোজ্জ্বল ছিল। কুফর ও শিরকের কোনো প্রকার অনু-বিন্দুও সেই বাড়িতে পৌঁছার অবকাশ ছিল অকল্পনীয়। এ কারণেই হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে ওই সকল পবিত্র ব্যক্তিত্বদের মধ্যে গণ্য করা হয়, যাঁরা সর্বদা কুফর, শিরক, বিদআত ও মন্দ সকল দোষাবলী থেকে পরিস্কার ও পবিত্র ছিলেন।
যখন রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত সিদ্দিকে আকবারের ঘরে বানানো মসজিদে তাশরিফ নিয়ে অত্যন্ত হৃদয়কাড়া সুমধুর কণ্ঠে তিলাওয়াত করতেন তখন হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা সেই তিলাওয়াত থেকে উপকৃত হতেন। যদিও সময়টা শিশুকাল ছিল। কিন্তু আল্লাহ্ তায়ালা যে সকল মহান স্বত্ত্বাদেরকে উঁচু মর্যাদা দিতে চান তাঁদেরকে গোড়া থেকেই আল্লাম্প্রদত্ত যোগ্যতায় অভিষিক্ত করেন। সেভাবেই হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা তাঁর শিশুকালও বেকার যেতে দেননি। বরং স্বভাবোচিত মেধা ও স্মরণশক্তির বিনিময়ে সেই সময়টুকুও মূল্যবান করে তুলেছিলেন।