শিশুটি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছেন। সময়ের তালে তালে বড়ো হচ্ছেন। এখন তাঁর একটু বুঝ হয়েছে। তিনি বুঝতে শিখেছেন। এই মনে করো তিনি এখন বয়সের সিঁড়ি বেয়ে তোমাদের মতো—নয় কিংবা দশ বছরের বালক।
সর্বপ্রথম যে দেশে তিনি সূর্য দেখেন, সেই দেশের সব মানুষ ছিলো মূর্তিপূজারী!
এই পৃথিবীতে প্রথম যে ঘরে তিনি চোখ মেলেছেন, ওই ঘর ছিলো মূর্তিয়ে ভরা!
যে গ্রামে তিনি প্রথম শ্বাস নিয়েছেন, সেই গ্রাম ছিলো প্রতিমায় ঘেরা!
কে জানতো যে, একদিন এই শিশু-ই সমগ্র পৃথিবীর অন্ধকার-অমানিশার বিস্তীর্ণ চাদর ফুঁড়ে দীন ইসলামের আলোকবর্তিকা জ্বালবেন?
কে মনে করতো যে, একদিন এই বালক জাহিলিয়াতের সকল আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু হিদায়াতের মশাল জ্বালবেন?
কেউ কি ধারণা করেছিলো যে, এই শিশুর বংশে জন্ম নেবে বহু নবী-রাসূল? এমনকি শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও? যাঁর সৌরভে সুরভিত হবে গোটা বিশ্ব।
কেউ কি ভাবতো, এই সন্তান কুড়াল দিয়ে মূর্তি ভেঙে চুরমার করবেন। আর ‘বড়ো খোদার’ গলায় কুড়াল ঝুলিয়ে মূর্তিপূজারীদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন?
তোদের মূর্তি অক্ষম!
আমার রব সক্ষম!
তোদের মূর্তি দুর্বল!
আমার প্রভু সবল!
ওরা নিষ্প্রাণ-নির্জীব!
আমার প্রভু প্রাণদাতা, জীবনদাতা!
নাহ্, কেউ এমন ভাবেনি।
নাহ্, কেউ এমন চিন্তাও করেনি।
বন্ধুরা!
তোমরা সবাই ভাবছো, কে এই শিশু?
কী তাঁর পরিচয়?
কী উদ্দেশ্যে তাঁর আগমন?
হ্যাঁ, বন্ধুরা! এই শিশুর জীবনের গল্প বলতেই আমাদের আজকের আসর। এবার তুমি গল্পের ভেতরে প্রবেশ করো, তাহলেই পেয়ে যাবে শিশুটির পরিচয়।