একজন স্বপ্নবাজ মানুষের বই নিয়ে লেখা আমার স্বপ্ন। কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামালের যে-জীবন তা
বহুবিধ ও বিচিত্র সৃষ্টিকর্মে আলোকিত। তাঁর মেধার সঙ্গে সমন্বয় ঘটেছে কঠোর শ্রমের। তাঁর জীবন
অভিধানে হতাশা বলে কোনো শব্দ নেই। তিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ
দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। এ কারণেই হয়তো তিনি সাফল্য পেয়েছেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। পেশায়
আপাদমস্তক সাংবাদিক। নেশায় পুরোদস্তুর লেখক। তিনি জ্ঞানে, প্রজ্ঞায়, সৃষ্টিশীলতায় ধারণ করেছেন
বাঙালি মনীষা। তাঁর গত প্রায় চার দশকের লেখালেখি, সাংবাদিকতা ও বর্ণাঢ্য জীবনাভিজ্ঞতা তাঁকে
নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
মোস্তফা কামালের সৃষ্টিজগৎ বিশাল ও বহুমাত্রিক। ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গবেষণা, গল্প, উপন্যাস,
সায়েন্স ফিকশন, কিশোর গোয়েন্দা, রম্য রচনা, শিশুতোষ, টিভি নাটক সবক্ষেত্রে তিনি সমান সক্রিয়।
বিশেষত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনব্যাপী ধ্যানের সারথি। এখানেই নিহিত রয়েছে
তাঁর জীবন ও সৃষ্টির শক্তিমত্তা ও সার্থকতা।
একজন মানুষের বড় পরিচয় বহন করে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিক্ষার মাধ্যমে। কথাসাহিত্যিক মোস্তফা
কামালের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা (১৯৯৩-২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে) যেসব গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর
সংক্ষিপ্ত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি গ্রন্থকথায়। এই গ্রন্থে লেখকের লেখা সব গ্রন্থই আলোকচিত্রের
মতো সাজানো হয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে লেখকের সব বই সম্পর্কে জানা হলো। এ জানায় জ্ঞানের
দরজায় শিক্ষার প্রসারতা কিছুটা উপলব্ধি করলাম। চিন্তার শুরুটা হয়েছিল ২০২৩ সালের আগে
থেকেই। গ্রন্থকথায় উল্লেখিত সব বইয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা কৌতূহলী পাঠক-গবেষকদের মোস্তফা
কামাল ও তাঁর বইকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
অনেক ভাঙা-গড়ার সঙ্গে ‘কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামালের গ্রন্থকথা’ পলিমাটির মতো জেগে উঠবে
আলোকচিত্র রূপে ছাপার অক্ষরে স্থায়ী সম্পদ হিসেবে।