অরণ্য—এক শব্দ, কিন্তু এর ভেতর লুকিয়ে আছে হাজার রহস্য, নিঃশব্দ জীবন আর অদৃশ্য এক স্পন্দন। মানুষ বহু যুগ ধরে প্রকৃতিকে জয়ের চেষ্টা করেছে, কিন্তু অরণ্যের গভীরে পা রাখলে বোঝা যায় সবকিছু জয় করা যায় না। কিছু শক্তি আছে, যা মানুষের চোখে ধরা পড়ে না, তবুও তার অস্তিত্ব অনুভূত হয় প্রতিটি নিঃশ্বাসে, প্রতিটি কাঁপুনিতে, প্রতিটি নীরব শব্দে। “অরণ্যের অগোচরে” সেই অদৃশ্য জগতেরই এক দরজা খুলে দেয় পাঠকের সামনে।
ইয়ান ও জারিফ দুই তরুণ, দুই মনের প্রতিচ্ছবি। তাদের কৌতূহল, বিশ্বাস আর সাহস মিলে এক অনন্য যাত্রার জন্ম দেয়। তারা পা রাখে এমন সব স্থানে, যেখানে বাস্তব আর অলৌকিকতার সীমারেখা ঘোলাটে হয়ে যায় জহরত বিলের স্তব্ধতা, পাহাড়ের অভিশপ্ত রিসোর্টের নিঃসঙ্গতা, কিংবা মায়াধারার ঝর্ণার অতল গভীরতা। প্রতিটি অভিযানে তারা আবিষ্কার করে এক অচেনা সত্য মানুষ যতই যুক্তিতে বাঁচুক, অদৃশ্য শক্তির উপস্থিতি তার অস্তিত্বকে ছুঁয়ে থাকে নীরবে।
এই বইয়ের গল্পগুলো কেবল রহস্য বা রোমাঞ্চের নয়; এগুলো বিশ্বাসেরও গল্প। ভয় ও বিস্ময়ের মাঝখানে যে ঈমান জেগে ওঠে, রুকইয়াহ্ ও আধ্যাত্মিক জাগরণের যে আলো অন্ধকার ভেদ করে উঠে আসে, তা পাঠককে শুধু ভাবায় না তাকে ছুঁয়ে যায় গভীরভাবে।
“অরণ্যের অগোচরে” পাঠককে নিয়ে যাবে এমন এক যাত্রায়, যেখানে প্রতিটি শব্দে আছে নিঃশব্দ আতঙ্কের স্পন্দন, প্রতিটি দৃশ্যে আছে আল্লাহর কুদরতের ছোঁয়া। এই বই কেবল বিনোদন নয় এ এক আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা, এক আত্মজাগরণের আহ্বান, যা মনে করিয়ে দেয়: মানুষের সীমা আছে, কিন্তু আল্লাহর রহমত অসীম।
অরণ্যের অগোচরে যে অদৃশ্য সত্য লুকিয়ে আছে, তা খুঁজে পেতে হলে সাহস চাই, বিশ্বাস চাই, আর চাই সেই আলো যা কেবল ঈমান থেকেই আসে।