বই পরিচিতি কনটেন্ট :
বিপদ-আপদ জীবনের এক নিত্য সঙ্গী। তা আমাদের উপর নেমে আসে অকস্মাৎ। কখনো তা নেমে আসে আমাদের দেহে, কখনো সম্পদে। কখনো চেপে বসে আমাদের স্ত্রী-সন্তানের উপর, কখনো-বা আত্মীয়-স্বজনের উপর। ইহধামের এ সুবিশাল জগতে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে বিপদ-আপদে নিপতিত হয়নি বা হচ্ছে না।
আচ্ছা, কখনো কি আপনি ভেবে দেখেছেন, এসব বিপদ-আপদ কেন আসে? এর উপকারিতা কী? আমাদের জন্য আদৌ তা ক্ষতিকর কি না?
এ প্রশ্ন না হয় বাদ দিলাম, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, বিপদের সংজ্ঞা কী? তার উপকরণ কী? কী কী সমস্যা পাওয়া গেলে কোনো বিষয়কে বিপদ বলে আখ্যা দেওয়া যায়?
বই পরিচিতি কনটেন্ট :
দাম্পত্য জীবন বা একই পথে দুটি দেহের যাত্রাকে কীভাবে ফ্রেমিং করা হবে, তার উপর নির্ভর করে পারিবারিক জীবনের সুখ-শান্তি। যদি আপনি একে ফ্রেমিং করেন অপার সুখ-আনন্দের এক অনিঃশেষ যাত্রা হিসেবে, তাহলে সামান্য মনোমালিন্যই আপনার আশার গুড়ে বালি ঢেলে দেবে।
আর যদি আপনি একে ফ্রেমিং করেন ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের একটি ভিন্নরূপ হিসেবে, তাহলে কোনো মনোমালিন্যই কষ্ট দেবে না। আপনি বরং সেই মনোমালিন্য বা কষ্টকে পরকালের পাথেয় মনে করবেন, সাওয়াবের আশা রাখবেন।
প্যারেন্টিংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সন্তান প্রতিপালনকে আপনি কীভাবে ফ্রেমিং করছেন, সন্তানের ভবিষ্যতকে কীভাবে দেখছেন, এর উপরই অনেক কিছু নির্ভর করছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, দাম্পত্য সম্পর্ক বা পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব সম্পর্ককে কেন নিজস্ব চিন্তার ফ্রেমে বন্দী করতে পারবেন না? কেন আপনাকে শরিয়ার ফ্রেমটাই নিতে হবে? কেন সেক্যুলার ব্যবস্থার ফ্রেম নেওয়া যাবে না?
এরপর কীভাবে আপনাকে সেই ফ্রেমের যত্ন নিতে হবে? কীভাবে ফ্রেমে বন্দী স্বপ্নকে বড় করে তুলতে হবে? ইত্যাদি বিষয়গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর তা নিয়েই হাতের বইটিতে আলোচনা করেছেন হাকিমুল উম্মাত আশরাফ আলি থানভি রহ.।
বই পরিচিতি কনটেন্ট :
সংশয়— একটি রোগ, যা ব্যক্তির চিন্তা-ভাবনাকে বিষাক্ত করে তাকে ধর্মহীনতার ক্যান্সারের দিকে ঠেলে দেয়। সুস্থ ও আলোকিত জগত থেকে বের করে তাকে এক গহীন অন্ধকার জগতে নিয়ে যায়। আচ্ছা, আপনি কি জানেন,মরণব্যাধি এ ক্যান্সারের উপাদান কী? তা থেকে নিজেকে বাচাতে কী করতে হবে? সতর্কতা মূলক কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে? হ্যাঁ,অবশ্যই, বিবেককে ভুল ও ভ্রান্ত পথ থেকে রক্ষা করতে হবে।
কিন্তু কীভাবে? কীভাবে আপনি বিবেককে ভ্রান্ত পথ থেকে রক্ষা করবেন? কীভাবে তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন? তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ভুল পথ কোনটা? কোন পথে বিভ্রান্তি আছে? আমি যেটাকে ভুল বা বিভ্রান্তপূর্ণ বলব,সেটা যে বাস্তবেই ভুল,তার প্রমাণই-বা কী? আশা করি,নিশ্চয়ই জটিলতার জায়গাটা ধরতে পেরেছেন।
থানভি রহ. এ বইতে মূলত সে জটিল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তির সাহায্যে দেখিয়েছেন, বিবেকের সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা কোথায়? যুক্তি ও লজিক কেন সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে না? কেন আমাদেরকে যুক্তি ও বিবেকের বাইরে গিয়ে সমাধান খুঁজতে হবে?
এর পাশাপাশি তিনি আধুনিক শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে বাসা বাধা অধিক প্রচলিত সংশয়েরও সমাধান করেছেন এতে।