বইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ- এই সংকলনে আধুনিক যুগের ভাবনাকে সামনে রেখে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে-১. অধিকাংশ শিরোনামের উপযোগী করে কুরআনের আয়াতসমূহ অথবা নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে একজন মুসলমান সিরাতের বিষয়গুলোর গুরুত্ব এবং এসব বিষয়ের দলিল-প্রমাণের প্রকৃতি উপলব্ধি করতে পারেন। আর মুসলিম ছাত্রদের হৃদয়ে ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই কুরআন ও হাদিস বোঝার সঠিক ও সুস্থ রুচি গড়ে ওঠে।
২. প্রতিটি বিষয়ের শেষে তার সারকথা এবং সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্ন যুক্ত করা হয়েছে- এতে শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি সিরাতের প্রতি আগ্রহী সাধারণ পাঠকরাও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সারমর্ম স্মরণে রাখতে পারবে। আর বিষয়বস্তু থেকে উত্থাপিত প্রশ্নাবলি পাঠকদের মূল ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের দিকেও দিকনির্দেশনা দেবে।
৩. সিরাত সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যাতে মুসলমানরা নিজেদের নবির সিরাত সম্পর্কিত সেসব আপত্তির জবাব দিতে সক্ষম হন, যা অহংকারী ও পক্ষপাতদুষ্ট অমুসলিমদের পক্ষ থেকে প্রায়ই তোলা হয়। প্রকাশভঙ্গিতে শুধু সংক্ষিপ্ত গবেষণার প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, বিতর্কমূলক কৌশল এড়িয়ে চলা হয়েছে, যাতে সিরাতের এই গ্রন্থটি বিতর্কের বইতে পরিণত না হয়। এমনকি যদি অমুসলিম পাঠকও এই গ্রন্থ পাঠ করেন, তাহলে সৎ দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে তিনি প্রভাবিত হবেন।
৪. শুরুতেই ইতিহাসভিত্তিক একটি ভূমিকা রাখা হয়েছে- যা এই বিষয়ে উপকারী এবং ইতিহাস অধ্যয়নে আগ্রহ জাগায়।
৫. সাধারণ সিরাতগ্রন্থগুলোর মতো এখানে ঘটনাগুলো পুরোপুরি বর্যক্রম অনুযায়ী সাজানো হয়নি; বরং হিজরতের পূর্ব ও পরবর্তী ঘটনাগুলোর বেশিরভাগ ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে বিষয়গুলো পারস্পরিকভাবে যুক্ত থাকে এবং মনে রাখতে সুবিধা হয়। এরপর বাকি বিষয়গুলো প্রয়োজন অনুসারে বছরভিত্তিক বর্ণনা করা হয়েছে।
৬. এই সংক্ষিপ্ত সিরাতগ্রন্থের নাম সালাফে সালেহিনের ধারা অনুসারে রাখা হয়েছে, 'নূরুল বাসার ফি সিরাতি খাইরিল বাশার', তবে প্রচ্ছদে সংক্ষিপ্তভাবে 'সিরাতে রাসুলে কারিম' লেখা হয়েছে।