পাখি মানুষের কাছে একটি প্রিয় প্রাণী। বিচিত্র রঙের পালক আর অপূর্ব সুরের ডাক দিয়ে পাখি মানুষকে আকৃষ্ট করে। অনেক পাখির ডানা রামধনুর সাতটি রঙের মতো ঝিলমিল। অনেক পাখির মিষ্টি শিস গানের মতো সুরেলা। অতীতকাল থেকেই মানুষ পাখির এই বৈচিত্র্যময় রূপে মুগ্ধ।
অরণ্যচারী মানুষ দীঘল ঘাসবনে কিংবা পাহাড়ি প্রান্তরে শিকারের খোঁজে ছুটতে গিয়েও কোন চমৎকার বর্ণের উড়ন্ত পাখিকে দেখে হয়েছে মুগ্ধ, বিস্মিত। প্রাচীনকালের বিভিন্ন গোত্রের নামকরণ কখনও করা হতো পাখিদের নামে।
সতের আঠার হাজার বছর আগে স্পেনের পাথরের যুগের মানুষেরা তাদের গুহার দেয়ালে এঁকে রেখেছিল পাখির ছবি। ইউফ্রেতিস নদীর তীরে গড়ে ওঠা সুমেরীয় সভ্যতার স্থাপত্যে রয়েছে পাখির অবয়ব। প্রাচীন মিশরের থিবস নগরীতে অবস্থিত নাখতের সমাধিমন্দিরের দেয়ালে রয়েছে নানা প্রজাতির পাখির চিত্র। ইতেতের সমাধিক্ষেত্র থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে আড়াই হাজার বছর আগের দেয়ালচিত্র। যাতে আঁকা রয়েছে নীল নদের অববাহিকায় বছরের একটি বিশেষ সময়ে আসা বুনোহাঁসের নলখাগড়ার বনে বাসা বাঁধার দৃশ্য। আরো রয়েছে বিভিন্ন সারস গোত্র এবং দিগহাঁস ও জলচর পাখিদের ছবি।
প্রাচীনকালে অনেক ক্ষেত্রে দেবতার আসন পেয়েছিল পাখি। মিশরে খ্রিষ্টপূর্ব পনের শতকের সমাধিমন্দিরে দেখা যায় দেবতাদের প্রতীক হিশেবে ছোট ছোট পাখির মূর্তি। পাথরে খোদাই করা। পাহাড়ি দেশ তিব্বতে পাখি দেবতা গরুড় হলো সৃষ্টি, স্থিতি আর প্রলয়ের প্রতীক। পুরোহিত লামাদের বিভিন্ন গুহার ভেতরে রাখা হতো পাখির মূর্তি। ব্যাবিলনের অধিবাসীরা ঈগলের জন্যে বানিয়ে দিতো মন্দির। বাজপাখিকে মিশরীয়রা মনে করতো জাগ্রত দেবতা। শহরের অধিবাসীদের যারা রক্ষা করবে বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে।
সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম নগরী মহেঞ্জোদারোর অধিবাসীরা তাদের তৈজসপত্রের গায়ে এঁকেছে পাখির ছবি।
বিভিন্ন দেশে পাখিদের নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিচিত্র ধরনের গল্প ও উপকথা। আকর্ষণীয় পুরাণকাহিনী। মিশরের মৃত্যুদেব সেকের এর মুখ শিকারি বাজপাখির মতো। সূর্যদেব হোরাসের ও পশ্চিম দিকের দেবতা আমেনত এর মুখও আইবিস পাখির আদলে পরিকল্পিত হয়েছে।
(জন্ম: ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর) আলী ইমামের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জন্মের ৬ মাস পরই পুরো পরিবারসহ ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। পুরো পরিবারসহ থাকতেন পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজারে।বাংলাদেশী শিশু সাহিত্যিক এবং অডিও ভিজ্যুয়াল ব্যবস্থাপক। আলী ইমাম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা-ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ২০০৬ সালে চাকুরী থেকে অবসরগ্রহণ করেন। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার, ভ্রমণকাহিনী, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সবই তিনি লিখেছেন বাচ্চাদের জন্য