২০১৯ সালে তিব্বতে গণতান্ত্রিক সংস্কারের ছয় দশক পূর্তি হয়। দীর্ঘ ৬০ বছর আগে শুরু হওয়া তিব্বতের গণতান্ত্রিক সংস্কার কর্মসূচি তিব্বত এবং সেখানে বসবাসকারী নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে একটি নতুন জীবন উপহার দিয়েছে। এই ৬০ বছরে আমূল বদলে গেছে গোটা তিব্বত অঞ্চল। তিব্বতের এই গণতান্ত্রিক সংস্কার কার্যক্রম আঞ্চলিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গভীর সামাজিক রূপান্তর কার্যক্রম।
পাশাপাশি, ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল দারিদ্র্য দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে। গোটা অঞ্চল থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূল করা হয়। এই অভিযানে মোট ছয় লাখ ২৮ হাজার মানুষকে চরম দারিদ্র্যের নাগপাশ থেকে টেনে তোলা হয়। দরিদ্রতার তালিকায় থাকা ৭৪টি কাউন্টি-পর্যায়ের এলাকাকে চরম দারিদ্র্যমুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রাচীন তিব্বতে 'দাসত্ব' একটি ভয়াবহ এবং পশ্চাৎপদ সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা হিসেবে দীর্ঘসময় টিকে ছিল। এই অমানবিক ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে তিব্বত একটি নতুন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে যা জনগণকে মানুষের গোলামি থেকে মুক্ত করে এবং তাদের ঘাড়ে চেপে বসা 'মানবরূপী দানব প্রভুদের' উৎখাত করে। এই দীর্ঘ সময়ের সংগ্রাম-চেষ্টার পর তিব্বতের মানুষ তাদের নিজস্ব বসতবাড়ি, জমিজমা ফিরে পায় এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার যাত্রারম্ভে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ করতে হয় যে, তিব্বতের এই গণতান্ত্রিক সংস্কারের পেছনে রয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার এবং দেশের বাকি অংশের জোরালো সমর্থন। দীর্ঘ ষাট বছরে জাতীয় ঐক্য রক্ষা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা করার লড়াইয়ে, তিব্বতের জনগণ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বকে অনুসরণ করেছে।
'গল্পগুলো তিব্বতের' গল্পগুলো স্থানীয় অঞ্চলের দীর্ঘ সময়ের অর্জিত নানা 'সাফল্যের ঝলকানি' দেখা যাবে। প্রাচীনকালের বিভিন্ন গল্প ও বর্ণনার তিব্বতের বাস্তব চিত্রেরই প্রতিফলন।
(জন্ম: ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর) আলী ইমামের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জন্মের ৬ মাস পরই পুরো পরিবারসহ ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। পুরো পরিবারসহ থাকতেন পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজারে।বাংলাদেশী শিশু সাহিত্যিক এবং অডিও ভিজ্যুয়াল ব্যবস্থাপক। আলী ইমাম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা-ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ২০০৬ সালে চাকুরী থেকে অবসরগ্রহণ করেন। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার, ভ্রমণকাহিনী, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সবই তিনি লিখেছেন বাচ্চাদের জন্য