সময়ের সুতো প্যাঁচ খাচ্ছে ঠিক যেখানে, সেখানে এসে মিশে যাচ্ছে অতীত ও বর্তমান। প্রাচীন মিশরের অলিগলিতে এক ফারাওয়ের অনুসন্ধানের সূত্র ধরে বর্তমানের এক গ্রিক ভাস্কর ভেসে চলেছেন বিপজ্জনক সমুদ্র অভিযানে। প্রাণধারণ ও আবিষ্কারের দুই সুতোর মাঝে অনুসন্ধানের টানাপোড়েনে বোনা হয়েছে এই উপন্যাস। কী অপেক্ষা করছে ওই প্রাচীন রহস্যের অন্তরালে? কীসের সম্মুখীন হতে চলেছে তরুণ গবেষকরা? সময়ের সীমা ছাড়িয়ে এগিয়ে-চলা এক সাহস আর বন্ধুত্বের অনিবার্য মেলবন্ধনের গল্প নিয়ে এই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি—ফেনার রাজ্য।
অল্পবয়সেই পিতৃমাতৃহীন অনাথ ইভান ইয়েফ্রেমভ গৃহযুদ্ধের সময় লালফৌজের একটি বাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশ্রয় পান। ১৯২২ সালে ষোলো বছর বয়সে স্কুলের পাঠ শেষ করে পাস করে বেরন। প্রত্নজীববিদ্যার প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল। তিনি নিজেই জানেন না অনেক বইয়ের মধ্যে একটি বই—তাতে নানা বিস্ময়কর জীবজন্তুর ছবি আর আরও বিস্ময়কর প্রাগৈতিহাসিক প্রাণিজগতের বর্ণনা ছিল—কেন তাঁকে এমন প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে।
১৯২৭ সালে ভবিষ্যতের বিখ্যাত প্রত্নজীববিদ ইভান ইয়েফ্রেমভের প্রথম বৈজ্ঞানিক রচনা বেরয়। ১৯৪৩ সালে বৈজ্ঞানিক পান সাহিত্যিকের পরিচয়।
ইভান ইয়েফ্রেমভ “টাসকারোরার অতল তল” (১৯৪৩), “তারার জাহাজ” (১৯৪৮), “অ্যান্ড্রোমিডা নীহারিকাপুঞ্জ” (১৯৫৭) প্রভৃতি আরও অনেক মনোহারী বৈজ্ঞানিক কল্পকথার রচয়িতা।
“ফেনার রাজ্য” (১৯৪৯) উপন্যাসটিতে বলা হয়েছে প্রাচীন গ্রীস ও মিশরের শিল্প ও সংস্কৃতির কথা, সেযুগের আফ্রিকার মানুষের জীবন ও প্রকৃতি, আর তরুণ গ্রীক গ্রীক ভাস্কর পান্দিওনের বিপদসংকুল ও অসাধারণ অ্যাডভেঞ্চারের কথা; সেই সঙ্গে আছে পান্দিওনের সৃষ্টি—বন্ধুত্ব ও আনুগত্যের প্রতীক অপূর্ব এক ক্যামিওর বর্ণনা।