“অপরিপক্ব কবি অনুকরণ করেন, পরিপক্ব কবি চুরি করেন। বাজে কবি যা নেয় তা নষ্ট করে, ভালো কবি যা নেন তা আরো ভালো করে তোলেন, অন্তত আলাদা কিছু তৈরি করেন। ভালো কবি অতুলনীয় অনুভূতিতে তার ‘চুরি’ সাজান, ‘চুরি’ করা জিনিস থেকে যা একদমই অন্যরকম।” –টিএস ইলিয়ট
সিগনিফিকেন্ট অবজেক্টস নামক বইতে জসুয়া গ্লেন আর রব ওয়াকার একটা পরীক্ষার কথা বলেন। এই বিশেষ তত্ত্বটা পরীক্ষা করার জন্যই কাজটা তারা করেছিলেন। ‘যেকোনো কিছুকে আবেগিক গুরুত্ব দেবার পেছনে সেটার গল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’ তারা যান থ্রিফট স্টোরে, ফ্লি মার্কেটে, ইয়ার্ড সেলে; গড়ে ১ ডলার ২৫ সেন্ট খরচ করে তারা কিছু জিনিস কেনেন। এরপর ভাড়া করেন বেশ কিছু লেখককে, বিখ্যাত-অখ্যাত মিলিয়ে; তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়: ‘প্রতিটা বস্তুর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে’ এমন গল্প লিখতে। শেষে গ্লেন ও ওয়াকার সবগুলো জিনিসকে ইবে-তে বিক্রির জন্য তোলেন, প্রতিটার বর্ণনায় ব্যবহার করেন লেখকদের গল্পগুলো। দাম হিসেবে যেটাই ধার্য করেন না কেন, দিন শেষে দেখা যায় যে $128.74 মূল্যের জিনিসপত্র বিক্রি করে কামিয়েছেন পাক্কা $3,612.51।
ক্রিয়েটিভ সিরিজ ৩: কিপ গোয়িং: সৃজনশীলতার ১০ চাবিকাঠি
বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করেন তার বন্ধু, জোসেফ প্রিস্টলিকে: ‘একটা কাগজের অর্ধেকটা নিয়ে তাতে লাইন টেনে দুই ভাগ করো। এক ভাগে লেখো লাভ, অন্য ভাগে ক্ষতি।’ বিয়ে করবেন কি না, এই প্রশ্ন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েও কিন্তু চার্লস ডারউইন লাভ-ক্ষতির তালিকা বানিয়েছিলেন।
দিনের শুরুতেই আমাদেরকে পড়তে হবে—এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর আসলে ছাপা হয় না। ঘুম থেকে উঠেই যখন ফোন কিংবা ল্যাপটপের দিকে হাত বাড়াচ্ছেন, তখন জীবনে আহ্বান করছেন দুশ্চিন্তা আর বিশৃঙ্খলাকে। সেই সঙ্গে যে-কোনো সৃজনশীল মানুষের সবচাইতে ফলপ্রসূ কিছু মুহূর্তকে জীবন থেকে বিদেয় জানাচ্ছেন।
অস্টিন ক্লেয়ন (জন্ম: ১৬ জুন, ১৯৮৩) একজন মার্কিন লেখক। স্টিল লাইক অ্যান আর্টিস্ট বইটির লেখক হিসেবে তিনি সর্বাধিক জনপ্রিয়। এছাড়া তার অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে শো ইয়োর ওয়ার্ক!, কিপ গোয়িং, স্টিল লাইক অ্যান আর্টিস্ট জার্নাল এবং নিউজপেপার ব্ল্যাকআউট। তিনি ওহিওর ক্লিভল্যান্ডের একটি পাবলিক লাইব্রেরিতে তার কর্মজীবন শুরু করেন। লাইব্রেরিতে কাজ করার সময় ক্লিয়ন একজন ব্লগার হয়ে ওঠেন। ক্লিয়নের কাজ এক ডজনেরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং প্রধান প্রধান মিডিয়াতে প্রদর্শিত হয়েছে।