ছেলেবেলা থেকেই গল্পের বই ছিলো আমার নিত্য সঙ্গী। পড়ার ফাঁকে কিংবা ফাঁকি দিয়ে মত্ত হয়ে যেতাম নানানরকম গল্পের বই, রূপকথার কল্পকাহিনী নিয়ে। নিজেকে মনে হতো মূল চরিত্র। এমনকি টেলিভিশন বা সিনেমা দেখতে গেলে কোনো একটা পছন্দনীয় চরিত্রে নিজেকে বসিয়ে বিভোর হতাম কল্পজগতে। এককথায় ভীষণ কল্পনাপ্রবণ এবং আবেগপ্রবণ যা থেকে এখনো মুক্তি পাইনি।
বৈবাহিক সূত্রে অল্প বয়সেই শুরু হয় প্রবাসজীবন। সংসার জীবনের হাজারো কাজের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিলাম। কিন্তু কোথায় যেনো একটা শূন্যতা অপূর্ণতা ছিল। মনের সব অব্যক্ত অনুভূতি একান্ত নিভৃতে লিখে রাখতাম ডায়রীতে। পেতাম প্রশান্তি। হয়ে গেলাম তিন সন্তানের জননী, আলহামদুলিল্লাহ। ওরা যখন একটু বড় হলো, সময় আমাকে নিজের মতো করে কিছু সময় দিলো। প্রায়শই চলে যেতাম কানাডার সেন্ট জোন্সের সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ, সুনীল সাগর তীরে। শীতের তুষার শুভ্র চারপাশ যেনো এতদিনে আমার ভেতরের না বলা কথাগুলোকে পূর্ণতা দিয়ে কবিতার রূপে প্রকাশ পেলো। ২০২১ থেকে ভাবনার ডানায় ভর করে মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রকাশ পেতে থাকলো সুপ্ত অব্যক্ত অভিব্যক্তি যা এতোদিন ছিলো নিজের কাছে সংরক্ষিত।
কখনো কখনো অনুভবে অনুভূত হতো কেউ একজন আছে,
যাকে দেখা যায় না,
ছোঁয়া যায় না,
কিন্তু সে যেনো ভীষণ আপন...
একান্ত প্রিয়জন...
যাকে আমার মান অভিমান, ভালোলাগা, ভালোবাসা সব বলা যায়, নির্দ্বিধায়... তাকে কল্পনায় রেখেই লিখে চলি ভালোবাসা আর বিরহ গাঁথা। যার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। কল্পিত মনবন্ধু আছে মনের গহীনে, সে রবে আজীবন... এভাবেই এক প্রতিচ্ছবি হয়ে...
প্রিয় পাঠক, আমার মনের সেই অদৃশ্য কল্পনাকে ঘিরে আমার ভাবনাগুলোকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম...
আমার লেখার কোনো একটি কবিতা কিংবা কবিতার একটি চরণও যদি আপনাদের কারো হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তবেই আমার এই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেয়া সার্থক হবে।