মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় হলো তার ছাত্রজীবন। কারণ এই সময়ের যথাযথ ব্যবহারের উপর নির্ভর করে একজন মানুষের ভবিষ্যৎ তথা সারাজীবনের গতিবিধি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- আমাদের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশই আজ প্রায় দিশেহারা। কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই, কোনো গঠনমূলক পরিকল্পনা নেই। পড়ালেখা কেনো করছি তারও কোনো সঠিক উত্তর জানা নেই। সবাই পড়ে তাই আমিও পড়ি টাইপ অবস্থা। অনেকের কাছে আবার সঠিক গাইডলাইন নেই। উচ্চতর শিক্ষা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই। শিক্ষা পরবর্তী সম্মানজনক কর্মক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে তেমন জ্ঞান নেই। নীতি-নৈতিকতার জ্ঞান নেই এবং এই জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার অনুভূতিও নেই। ছাত্রজীবন তথা পুরো জীবনকে ধ্বংশ করার জন্য তাদের চারিদিকে কত সহস্র জাল যে বিছানো আছে সে সম্পর্কেও তারা সচেতন নয়। ফলে খুব সহজেই সেসব জালে পা দিয়ে জীবন বরবাদ করে ফেলছে।
এই সকল বিষয় এবং এতদ্বসংশ্লিষ্ট আরও কিছু বিষয় নিয়ে অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীর একটি সুন্দর ছাত্রজীবন গঠনের লক্ষ্যে যা যা জানা প্রয়োজন তার প্রায় সব বিষয়গুলোকে একত্রে এক মলাটে আনার প্রয়াস ব্যক্ত হয়েছে এই ‘রিমার্ক’ বইটি রচনার মাধ্যমে। বইটি থেকে তিন ধরণের পাঠক উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ্। এক. শিক্ষার্থী। এই বই পাঠের মাধ্যমে তারা তাদের সমগ্র ছাত্রজীবনের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা এবং মনের মাঝে উদিত অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে। একই সাথে নিজেকে আবিষ্কার করতে সমর্থ হবে। দুই. অভিভাবক। সম্মানিত অভিভাবকগণ এই বই পাঠের মাধ্যমে তাদের সন্তানের পড়াশোনার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ হবেন এবং সন্তানকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন। তিন. শিক্ষক। সম্মানিত শিক্ষকগণও এই বইয়ের তথ্যের সাথে তাদের অভিজ্ঞতার সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন এবং একটি ভালো শিক্ষা সেবা দিতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ্। আমি আন্তরিকভাবে চাই, এই তিন শ্রেণির পাঠকই বইটি পড়–ক যেন শিক্ষার্থীরা নিজে পড়ে এবং অভিভাবক ও শিক্ষকদের ত্রিমুখী নির্দেশনায় জ্ঞান, দক্ষতা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠতে পারে।