আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি, যদি বলি সেটি সত্য নয়! যদি বলি এটি এক প্রকার pre-planned illusion—এক নির্মিত বাস্তবতা, এক অদৃশ্য প্রোগ্রাম? “শয়তানের কোড” এই অলিখিত প্রোগ্রামের অন্দরমহলে প্রবেশ করবে।
“যেখানে ঈশ্বরের নাম ব্যবহার করে মানুষকে দাস বানানো হয়, আর স্বাধীনতার নামে তাকে কোডে আবদ্ধ করা হয়।”
এই বই প্রযুক্তি, রাজনীতি ও আধ্যাত্মিকতার মিলনবিন্দুতে দাঁড়িয়ে এক ভয়ঙ্কর প্রশ্ন তোলে—
মানবচেতনা আসলে কার হাতে?
এখানে আলো মানে নজরদারি, আর মুক্তি মানে বিভ্রম। আমরা ভাবি আমরা ভাবছি; অথচ চিন্তাও এখন নিয়ন্ত্রিত, অনুভূতিও প্রোগ্রামড।
‘শয়তানের কোড’ কোনো উপন্যাস নয়। এমনকি সৃষ্টিরাজ্য ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কোনো গতানুগতিক ধর্মগ্রন্থের প্রতিফলনও নয়। এটি এক মানসিক বিদ্রোহের manifesto।
এটি শেখায়—ক্ষমতা কিভাবে অদৃশ্য, কিন্তু সর্বত্র উপস্থিত; কিভাবে মানুষের আত্মা ধীরে ধীরে নিজের প্রতিফলনের বন্দি হয়ে পড়ছে।
এই বই তাদের জন্য, যাদের মগজ প্রতিটি ক্ষুদ্র বিষয়েও সন্দেহ করতে পারে।
কারণ—সন্দেহই শেষ স্বাধীনতা।
এমন একজন মানুষ, যিনি ইতিহাসের অন্ধকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন—
“Do what thou wilt shall be the whole of the Law.”
তার নাম Aleister Crowley। তার প্রতিষ্ঠিত ধর্ম Thelema। নিজেকে তিনি দাবি করেছিলেন “শেষ নবী” হিসেবে।
এই বই সেই ধর্মের অন্ধকার উৎস, প্রতীক ও মানসিক স্থাপত্য উন্মোচন করে—
যেখানে ঈশ্বর আর স্বর্গে নয়, জাগে মানুষের অভ্যন্তরে;
যেখানে মুক্তি মানে আনুগত্য নয়, বরং আত্মার বিদ্রোহ;
যেখানে নৈতিকতা ভেঙে পড়ে চেতনার আলোর নিচে,
এবং মানুষ আবিষ্কার করে নিজের ভিতরের দেবতাকে।
‘গুপ্ত নবী’ হলো এক যাত্রা—
যা এই ভণ্ড, তথাকথিত শয়তানের নবীর জীবন থেকে শুরু করে এক নতুন ধর্মের জন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত;
এটি এক শয়তানের নবীর বিপ্লব, যেখানে প্রচলিত ধর্মের ঈশ্বরকে প্রতিস্থাপন করা হয় মানব-ইচ্ছার শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে।
এবং এটি এক ভবিষ্যদ্বাণী, যা আজকের আধুনিক যুগে নতুন রূপে সত্যি হয়ে উঠছে।
এখানে ক্রাউলির কণ্ঠ, মন্ত্র ও রহস্য—
মিশে গেছে ইতিহাস, রাজনীতি, যৌনতা ও মহাজাগতিক প্রতীকের সঙ্গে।
এটি ধর্ম নয়, আবার কেবল বিদ্রোহও নয়—
এটি সেই সীমারেখা, যেখানে সাদা ও কালো মিলেমিশে সৃষ্টি করে—
“The New Religion of the Will.”