আপনি কি নিজের মনের ভেতরে চলা অবিরাম কথা বলা কণ্ঠস্বরটির যন্ত্রণায় ক্লান্ত?
রাতে বিছানায় শোয়ার পর যখন পৃথিবী শান্ত হয়ে যায়, ঠিক তখনই কি আপনার মনের ভেতরে শুরু হয় এক শব্দহীন ঝড়? তুচ্ছ কোনো ঘটনা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাবা, ভবিষ্যতের কাল্পনিক ভয়ে কুঁকড়ে থাকা, কিংবা অতীতের ভুলের জন্য নিজেকে দোষারোপ করা—এই চক্রে কি আপনি আটকা পড়ে আছেন?
যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে ‘চিন্তাকে থামাও’ বইটি আপনার জন্যই লেখা।
আমরা অনেকেই ভাবি, মনকে জোর করে শাসন করলেই বুঝি শান্তি পাওয়া যায়। কিন্তু মনস্তত্ত্ব বলে—যার সাথে আপনি যুদ্ধ করবেন, সে তত শক্তিশালী হবে। চিন্তাকে জোর করে থামানো যায় না, তাকে ‘বুঝতে’ হয়।
লেখক ওয়াহিদুর রহমান এই বইয়ে তুলে ধরেছেন প্রাচীন আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞা এবং আধুনিক মনস্তত্ত্বের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। এটি কোনো সাধারণ মোটিভেশনাল বই নয়, যেখানে আপনাকে শুধুই ইতিবাচক হতে বলা হবে। এটি একটি ‘মেন্টাল ম্যাপ’ বা মানসিক মানচিত্র, যা আপনাকে দেখিয়ে দেবে কীভাবে মনের গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে প্রশান্তির খোলা আকাশে নিঃশ্বাস নিতে হয়।
এই বইয়ে আপনি যা যা পাবেন:
🧠 চিন্তার উৎস: স্মৃতির গভীর অরণ্য থেকে কীভাবে চিন্তার জন্ম হয় এবং কীভাবে তা বর্তমানকে গ্রাস করে।
🛑 পজ টেকনিক (Pause Technique): উত্তাল রাগের মুহূর্তে বা ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঠিক আগে কীভাবে নিজেকে থামাবেন।
🌪️ আবেগ নিয়ন্ত্রণ: রাগের আগুন বা কষ্টের সমুদ্রের মাঝে থেকেও কীভাবে নিজেকে স্থির রাখবেন।
🎭 সামাজিক মুখোশ: অন্যের চোখে ‘ভালো’ সাজার চাপ কীভাবে আমাদের মানসিক দাসত্বে আবদ্ধ করে।
🕊️ নীরবতার শক্তি: একাকীত্বকে ভয় না পেয়ে কীভাবে তাকে নিজের শক্তিতে রূপান্তর করবেন।
📝 আত্ম-নিরাময়: নিজেকে চিঠি লেখা এবং নিজের ভেতরের শিশুটিকে ক্ষমা করার জাদুকরী প্রক্রিয়া।
কেন পড়বেন এই বই?
আমাদের পকেটে এখন গোটা পৃথিবী (স্মার্টফোন), কিন্তু আমাদের নিজেদের মনের ভেতরে এক ফোঁটা জায়গা নেই। আমরা শ্বাস নিই বর্তমানে, কিন্তু বাঁচি অতীতে বা ভবিষ্যতে। এই বইটি আপনাকে ফিরিয়ে আনবে জীবনের একমাত্র সত্য সময়টিতে—যার নাম ‘বর্তমান’।
বইটিতে আছে ২৫টি গভীর অধ্যায় এবং প্রতিটি অধ্যায়ে আছে ব্যবহারিক অনুশীলন (Practical Exercises)। এটি কেবল পড়ার বই নয়, এটি সাথে নিয়ে চলার এবং চর্চা করার একটি গাইডবুক।
মনের কোলাহল থামিয়ে, প্রশান্তির পথে যাত্রার জন্য আজই সংগ্রহ করুন ‘চিন্তাকে থামাও’।
প্রযুক্তি আর প্রজ্ঞার নিবিড় মেলবন্ধনে গড়া নাম ওয়াহিদুর রহমান, যিনি ডিজিটাল ভুবনে ‘ফ্রিল্যান্সার ওয়াহিদ’ নামে সমধিক পরিচিত। নব্বইয়ের দশকের শেষলগ্নে নোয়াখালীর স্নিগ্ধ আবহে জন্ম নেওয়া এই স্বপ্নদ্রষ্টা বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দা হলেও, তাঁর মননে মিশে আছে শেকড়ের ঘ্রাণ। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে তিনি যেমন অতীতকে দেখার চোখ রাখেন, তেমনি ব্যবসায় প্রশাসনের গবেষক হিসেবে বুনতে জানেন আগামীর স্বপ্ন। যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র—আন্তর্জাতিক কর্মপরিধিতে বিচরণ থাকলেও তাঁর শেকড় প্রোথিত বাংলা সাহিত্যে। এলসেভিয়ারের মতো বিশ্বখ্যাত জার্নালের রিভিউয়ার কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা—সবখানেই তিনি রেখেছেন মেধার স্বাক্ষর।
তাঁর লেখনী তরুণদের দেখায় স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন ও আত্মজাগরণের মন্ত্র। ‘জীবনের জ্যামিতি’ কিংবা ‘প্রজ্ঞার পাঠশালা’-য় তিনি যেমন জীবনের সমীকরণ মিলিয়েছেন, তেমনি ‘আমি হবো ফ্রিল্যান্সার’ ও ‘নিজেকে জাগাও’ বই দিয়ে দেখিয়েছেন আলোর পথ। প্রযুক্তিগত দক্ষতা আর সৃজনশীলতার মিশেলে তিনি তাঁর পাঠকের জন্য তৈরি করেন এমন এক জগত, যা কেবল তথ্য দেয় না—বরং ভাবায় ও স্বপ্ন দেখায়।