কিছু কিছু মানুষ অপরকে আলোকিত করতেই আনন্দ খুঁজে পান, খুঁজে পান জীবনের সার্থকতা। কিন্তু আলোকিত ব্যক্তির আলোর নিচে দাঁড়ালে আলোকদাতাকেই খুঁজে পাওয়া যায় স্পষ্টভাবে, উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর রূপে। জাকির আহমদ সেই বিরল প্রজাতিরই একজন।
সাহিত্যের প্রায় সকল শাখাতেই পদচারণা জাকির আহমদের। সফল হয়েছেন ছড়াকার হিসেবে, কবি হিসাবে, সাংবাদিক-সম্পাদক হিসাবে। তবুও এসব কিছুকে ছাপিয়ে তিনি একজন সফল সংগঠক, অজ¯্র লেখকের ভরসার প্রতীক, অনুপ্রেরণাদাতা; নতুন লেখক সৃষ্টির কারিগর।
জাকির আহমদ তার ব্যক্তি সত্তাকে ছাপিয়ে আজ একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন নিজেকে। এটা সম্ভব হয়েছে সাহিত্যের প্রতি অকৃত্রিম টান, সততা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, অক্লান্ত পরিশ্রম সর্বোপরি শুভ্র-স্বচ্ছ মানসিকতার কারণে; মানুষকে মানুষ হিসাবে ভালোবাসতে পারার কারণে। তাই এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানলে মানুষকে ভালোবাসতে শেখা যায়। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সততার সাথে লক্ষ্য পূরনের পথে চলার প্রেষণা পাওয়া যায়।
যারা অন্যের ভালো চান- অন্যের ভালো হবার পর সেখানে নিজ স্বার্থ খুঁজে না পেলে তাদের ভিন্ন রূপ দেখা যায় অধিকাংশক্ষেত্রেই। জাকির আহমদ এই মানসিকতাকে জয় করতে পেরেছেন বলেই সকলের প্রিয় হয়েছেন। শ্রদ্ধার- স্নেহের -আদরের পাত্র হয়েছেন। তাইতো অজ¯্র মানুষের শুভাকাঙ্ক্ষী, আত্মার আত্মীয় তিনি।
কিছু কিছু মানুষকে পৃথিবী মনে রাখে- এটা পৃথিবীর দায়। আর এমন তখনই ঘটে যখন মনে কোন কলুষতা না রেখে কেউ তার জন্মের দায় সততার সাথে ভালোবেসে পূরণ করে। তখন তাঁকে ভালোবাসা পৃথিবীর অপরিহার্য হয়ে পড়ে। জাকির আহমদকে পৃথিবী মনে রাখবে ভালোবেসে, মায়ায়। আর এই মনে রাখার আয়োজনটা দেখে যেতে না পারলে জীবনের পূর্ণতা কোথায়! কোথায় সার্থকতা আয়োজন করে এ কথা বলায়-
‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ
মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।’
শুভ জন্মদিন, জাকির আহমদ। শুভেচ্ছা। শুভকামনা। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।