নির্বাচনে কারচুপি (রিগিং) করা একটি অবৈধ, অগণতান্ত্রিক এবং অপরাধমূলক কাজ, যা একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সততাকে ক্ষুণ্ন করে। নিক চিজম্যান এবং ব্রায়ান ক্লাসের "হাউ টু রিগ এন ইলেকশন" (How to Rig an Election) বইটি মূলত একটি বিশ্লেষণাত্মক একাডেমিক কাজ, যা বাস্তব বিশ্বের উদাহরণ ব্যবহার করে ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে রাজনৈতিক নেতারা ও সরকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনকে নিজেদের অনুকূলে প্রভাবিত বা ম্যানিপুলেট (rigging/manipulation) করার চেষ্টা করে থাকেন [1]।
বইটি কোনো ম্যানুয়াল বা নির্দেশিকা নয়, বরং এটি একটি সতর্কবার্তা এবং নির্বাচনী কারচুপির পদ্ধতিগুলো উন্মোচন করে গণতন্ত্র সুরক্ষায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে লেখা।
বইটিতে আলোচিত (এবং বাস্তবে ব্যবহৃত) কিছু সাধারণ কৌশল বা পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো:
আইনি ব্যবস্থার অপব্যবহার (Manipulating the Legal Framework): নির্বাচনী আইন, সীমানা নির্ধারণ (gerrymandering) বা ভোটার তালিকার নিয়ম পরিবর্তন করে প্রতিপক্ষের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তোলা [1]।
মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ (Controlling the Media): রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ব্যবহার করে একতরফা প্রচার চালানো এবং স্বাধীন গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ বা সেন্সর করা [1]।
বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন (Repression of the Opposition): বিরোধীদের ভয় দেখানো, তাদের প্রচারাভিযানে বাধা দেওয়া বা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা [1]।
অর্থনৈতিক চাপ (Economic Coercion): ভোটারদের ঘুষ দেওয়া বা ভয় দেখানো যে, তারা সঠিক দলকে ভোট না দিলে চাকরি হারাবেন বা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন [1]।
ভোট গণনায় কারচুপি (Ballot Stuffing and Fraud): ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, জাল ভোট দেওয়া, অথবা ভোট গণনার ফলাফল পরিবর্তন করা [1]।
এই ধরনের কাজগুলো যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের আইনে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কারাদণ্ডসহ অন্যান্য কঠোর শাস্তি হতে পারে।