আগামীকাল আপনার চাকরিটা থাকবে তো? 🤖
আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যেখানে সকালের নিউজফিড থেকে শুরু করে রাতের সঙ্গী নির্বাচন—সবই নিয়ন্ত্রণ করছে একটি অদৃশ্য শক্তি, যার নাম AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) চোখের পলকে কবিতা লিখছে, মিডজার্নি (Midjourney) আঁকছে অবিশ্বাস্য সব ছবি, আর ডিপফেক (Deepfake) ভিডিও আমাদের চোখের বিশ্বাস কেড়ে নিচ্ছে।
চারপাশে এখন একটাই প্রশ্ন— AI কি আলাদিনের জাদুর চেরাগ, নাকি ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের সেই দানব?
‘নেকড়ের অফিস’-এর লেখক ওয়াহিদুর রহমান এবার নিয়ে এসেছেন প্রযুক্তির এক রোমাঞ্চকর আখ্যান ‘AI-এর আজব দুনিয়া’। এই বইয়ে কোনো জটিল কোডিং বা দুর্বোধ্য ইঞ্জিনিয়ারিং নেই। আছে গল্পের ছলে বিজ্ঞানের এক অবিশ্বাস্য যাত্রা।
বইটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন:
🔍 চ্যাটবটের পেটের খবর: কীভাবে যন্ত্র মানুষের ভাষা শিখল এবং প্রেমে ফেলতে শিখল?
⚠️ চাকরি বনাম এআই: অটোমেশনের ঝড়ে আপনার পেশা কি নিরাপদ? টিকে থাকার উপায় কী?
💔 প্রেম ও প্রতারণা: মানুষ কেন মেশিনের প্রেমে পড়ছে? ‘হার’ সিনেমার গল্প কি বাস্তবে সম্ভব?
🎭 ডিপফেক ও সত্যের মৃত্যু: যখন নিজের চোখকেও আর বিশ্বাস করা যাবে না, তখন আমরা কী করব?
🚀 সুপার হিউম্যান হওয়ার উপায়: কীভাবে এআই ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজ ও জীবনকে ১০ গুণ সহজ করবেন?
🌍 ভবিষ্যতের পৃথিবী: ২০৫০ সালে আমাদের পৃথিবী দেখতে কেমন হবে?
বইটি কাদের জন্য?
যিনি প্রযুক্তির কিছুই বোঝেন না, কিন্তু পরিবর্তন দেখে ভয় পাচ্ছেন।
যিনি ছাত্র বা চাকরিজীবী এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চান।
যিনি বিজ্ঞান ও দর্শনের মিশেল পছন্দ করেন।
ভবিষ্যৎ আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। অন্ধকারে ভয় না পেয়ে, আলো জ্বেলে সেই ভবিষ্যৎকে দেখার জন্য এই বইটি আপনার হাতে থাকা চাই-ই চাই।
স্বাগতম, AI-এর আজব দুনিয়ায়।