নিজ ফ্ল্যাটে একজন ‘র’-এর জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা আত্মহত্যা করে বসে। যে ছিল ভারতীয় ‘র’-এর গোপন ব্রাঞ্চ ক্ল্যান্ডেস্টাইনের স্বনামধন্য এজেন্ট। দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে পাহাড়সম। তবে হুট করে কেন এই সিদ্ধান্ত? না কি কোনো চক্রান্ত?
অন্যদিকে বুলগেরিয়ার শেষ সীমানায় অর্ঘ্যদীপকে খুঁজতে খুঁজতে সেখানে পৌঁছে যায় ছদ্মনামধারী এক দুর্ধর্ষ স্পাই ওমার আর তার দুই সঙ্গী। যাদের একটাই কাজ, অর্ঘ্যদীপকে শেষ করা। কী করেছে অর্ঘ্যদীপ? কে তাদের এই কাজে পাঠিয়েছে? তাদেরই-বা পরিকল্পনা কী?
অর্জুন পান্ডে, একজন লকস্মিথ। সাবেক এজেন্ট। বাংলাদেশের এক মিশনে ডিজিএফআইয়ের হয়ে কম্প্রোমাইজ করার কারণে ক্যারিয়ারের করুণ দশা তার। কিন্তু ক্ল্যান্ডেস্টাইনের ভাইস চিফ মানিক রাও তাকে দেয় গোপন একটি কাজ। একটি নতুন মিশন। ধরতে হবে দীওয়ান চাঁদ মালিক নামক একজনকে। যাকে মোল হিসেবে সন্দেহ করছে ‘র’। যে সুরেশ বাজারিয়া মৃত্যুর সাথে সাথে গায়েব হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে। কী সেটা? এবং বাংলাদেশের এক এজেন্টের সাথে ভারতীয় ‘র’ কীভাবে জড়িত?
বিশ্বের তাবড় সব গোয়েন্দা সংস্থা, তাদের ভেতরকার কূটনীতি, সেই সাথে জড়িয়ে যাওয়া অর্জুন পাণ্ডের ভাগ্য, জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার আত্মহত্যা এবং দিওয়ান চাঁদ মালিকের রহস্য মিলেমিশে পরিণত হয় এক দুর্দান্ত ককটেলে। পদে পদে বিপদের হাতছানি, জীবন-মরণের প্রশ্ন আর ধূসর রহস্যের ভরাডুবিতে জড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ রাজনীতির ভবিষ্যৎ ভাগ্য।
এর শেষটা কী তা জানতে হলে পড়তে হবে এম. জে. বাবুর এসপিওনাজ থ্রিলার উপন্যাস ‘মালিক’। যেখানে জীবনের গল্প জীবন উঠে এসেছে, সেইসাথে তুলে ধরা হয়েছে একটি দেশের উত্থান ও পতনের ইতিহাসকে।
এম.জে. বাবুর জন্ম ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে। কোনো কৃতিত্ব ছাড়া স্থানীয় স্কুল-কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ করছেন। প্রথম বই দিমেন্তিয়া প্রকাশ পায় ২০২০ সালে। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। অ্যাবসেন্টিয়া, পিনবল, ভ্রম, ইনসেন্টিয়া দিয়ে পাঠকের মন জয় করলেও, জিন দিয়ে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। কাজ করছেন থ্রিলার ও সমকালীন জঁরা নিয়ে।