খুনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে সমগ্র বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল এক অদৃশ্য কারাগারে। স্বৈরাচার হাসিনা এবং আওয়ামী গোষ্ঠী ক্রমাগত খুন-গুম, হামলা-মামলা দিয়ে দেশের জনগণকে আতঙ্কিত করে ফেলেছিল। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ লীগ মিলে পুরো দেশটাকে পরিণত করেছিল মৃত্যু উপত্যকায়। উন্নয়নের নামে দেশটাকে লুটপাট, ডাকতি আর চুরির নিরাপদ আস্তানা বানিয়ে ফেলেছিল আওয়ামী লীগ ও সরকারি কর্মচারীরা। আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের মতো তারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলÑআওয়ামী জাহেলিয়াত।....
....হাজারো অত্যাচার-নিপীড়নের মধ্যেও এই জালেমশাহির বিরুদ্ধে লড়াই, আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিল এদেশের বিরোধী দলগুলো ও নাগরিকরা। এই লড়াই আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ খুন হয় তাদের। হাজার হাজার মানুষ গুম হয় ফ্যাসিস্টদের হাতে। হাজার হাজার মানুষ বন্ধুত্বের অভিশাপ বরণ করে। লক্ষ লক্ষ পরিবার ভিটেমাটি ছাড়া হয় কিংবা বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এত কিছুর পরেও মজলুম মানুষ শেষ পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখে। সত্যের পথে আলোর আশায় চেয়ে থেকে থাকে।
অবশেষে আলো আসে। আবু সাঈদের টগবগে লাল রক্তের মতো নতুন সূর্য উদিত পুবের আকাশে। আস্তে আস্তে সূর্য ওঠেÑ মানুষেরাও জেগে উঠতে থাকে। জাগ্রত মানুষ দেশের মেধাবী ছাত্র অথবা সন্তানদের হত্যার বিচার চায়। সন্তান অথবা ভাই -বোন হত্যার বিচারের দাবিতে লাখো- কোটি জনতা পথে নেমে আসে। সমুদ্রের মতো গর্জন করতে থাকে তারা। আগ্নেয়গিরির মতো বিস্ফোরিত হয়। ছাত্র- জনতার সেই বিস্ফোরিত তোপের মুখে দানবের দুর্গ ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। অবশেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা এবং ত্রিশ হাজার মানুষকে পঙ্গু করে দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায় রক্তচোষা স্বৈরাচার, বাংলাদেশের ইতিহাসের অভিশাপ শেখ হাসিনা।