নির্বাচনের সময় এলেই আমাদের চারপাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মিছিল, মিটিং, শোডাউন, আলোচনা-সমালোচনা, ট্রল, অভিযোগ, পালটা অভিযোগ বাড়তে থাকে। এমন কঠিন ও জটিল মুহূর্তে একজন মুসলমান হিসাবে আমাদের মনে বারবার একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, ‘এই বিক্ষুব্ধ সময়ে, এত এত মানুষের ভিড়ে, সবকিছুর মাঝে, আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্ক কোথায়?’
রাজনীতি ও সামাজিকতার ক্ষেত্রে একজন মুসলিম কর্মীর দৃষ্টিভঙ্গি কী হওয়া উচিত এবং এই কণ্টকাকীর্ণ পথে কীভাবে তার পা ফেলা উচিত, সেই প্রশ্নও আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে, চিন্তিত করে। একজন মুসলমান হিসাবে আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়েই এই প্রশ্নগুলো আসা উচিত।
আমি, আপনি এবং আমরা সবাই, যেকোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য বা কর্মী হই না কেন, আমাদের উচিত এই কথাটি সবসময় স্মরণ রাখা যে, রাজনীতি মানেই শুধু ক্ষমতা কিংবা প্রভাব অর্জন নয়, বরং এটি একটি ঈমানি পরীক্ষা। এই পথে যাত্রা শুরু করতেই প্রতিটি পদে পদে একজন মুসলিম কর্মীকে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ফিকির করতে হয়। তার লক্ষ্য হতে হয় জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় এই ক্ষেত্রেও কীভাবে দ্বীন মেনে, ন্যায়ের পথে, সততার সাথে চলতে হবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে সামনে রেখে যখন আপনি রাজনৈতিক ময়দানে প্রবেশ করবেন, তখন নিজের ঈমান হারানোর আশঙ্কা কম হবে। এই মাঠে থাকে নফসের তাড়না, অর্থের প্রলোভন ও ক্ষমতার লোভ। এটি একটি পরীক্ষা; নির্বাচনের পরীক্ষা, ভোটের পরীক্ষা। নির্বাচনের মাঠ নামক এই পরীক্ষাকেন্দ্রে থেকেও আপনাকে চিন্তা করতে হবে কীভাবে আল্লাহর পথে চলতে হবে, নিজের চারিত্রিক শুদ্ধতা ও ঈমান রক্ষা করতে হবে।
এই বইটি সেই শুদ্ধ পথে চলার পথনির্দেশিকা, যে পথে একজন মুসলিম কর্মী কেবল নেতৃত্ব ও ক্ষমতা নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়।
এ বইটি আপনার সামনে এমন একটি নীতিমালা তুলে ধরেছে, যা আপনাকে শেখাবে, কীভাবে নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে থেকেও অন্যায় থেকে বিরত থাকা যায়, ন্যায়ের পথে চলা যায় এবং ঈমানি সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়।