কিছু কথা প্রথমেই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে স্মরণ করছি। যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমার কয়েকটি উপন্যাস বই বের হয়েছে। তারপর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা, ম্যাগাজিনে ছোট গল্প লিখে থাকি। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত। আমি দৈনিক যুগান্তর স্বজন সমাবেশ-এর বাড্ডা থানার সভাপতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা বাড্ডা থানার সহ সাধারণ সম্পাদক। সবার উদ্দেশ্যে একটা কথা বলতে চাইÑ ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সোনার বাংলা। আমরা তাদের কাছে ঋণী, তাদের এ স্বপ্নের দেশে এমন কোনো কাজ করবেন না, যেন ঋণ রেখে কবরে যেতে হয়। আমি মূলত বুঝাতে চেয়েছি, দুর্নীতি, ক্ষমতার লোভে খুন, সন্ত্রাস, যৌতুক প্রথা বন্ধ করা, শিশু ও নারী নির্যাতন, পাচার, সড়ক দুর্ঘটনাকে বুঝিয়েছি। এসব বিষয় বন্ধ করা এবং সবাই সচেতন হওয়া। তাহলেই আমরা ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো। একদিন না একদিন এ পৃথিবী থেকে সবাইকে যেতে হবে। তাই পাপের ভার না বাড়ানোই প্রত্যেকের জন্য উত্তম। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই কিছু সাদা মনের মানুষদের। যাদের কথা বলাই লাগে তাঁদের মধ্যেÑ আব্দুল খালেক (সাবেক ডি.জি. ও বর্তমান উপদেষ্টা বাংলাদেশ রেলওয়ে) ড. আবদুস সাত্তার খান (নাসার বিজ্ঞানী, আমেরিকা), ড. আবু তাহের খান (বিজ্ঞানী, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আমেরিকা), জাহাঙ্গীর আলম (আমেরিকা প্রবাসী), আলী হোসেন (চেয়ারম্যান, বাড্ডা ইউপি) নারগিস খান (বিশিষ্ট সমাজসেবক), আলমগীর হোসেন শিপন (বিশিষ্ট সমাজসেবক), ডা. মনির হোসেন খান (প্রবাসী), মোরছালিন হায়দার বাবু (বিশিষ্ট সমাজসেবক), সাইফুল ইসলাম রতন (্অ্যাকাউন্টস চিফ, দৈনিক যুগান্তর) হিমেল চৌধুরী (বিভাগীয় সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর-স্বজন সমাবেশ) আব্দুল কাইউম তুহিন (সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, চ্যানেল ২৪), সিকান্দার রোমান (সিনিয়র সাংবাদিক, বাংলাভিশন), ইমানুর হোসেন (বিশিষ্ট সমাজসেবক) শিশির লুক কোড়াইয়া (বিশিষ্ট সমাজসেবক)। আর বন্ধুরা তো আছেই। জুয়েল, বাবু, ডলার, মাহাবুব, আশিস, সুজন, আতিক, রিপন, আনাম, আরিয়ান, মিশু, সোমা, লোপা, প্রমা, ডেনিস, সানজিদা, মাবিয়া, লিংকন, মিমু, নিকি, দিনা, কনা, আরিফ, মামুন (অভিনেতা), শেফালী, মাসুদ, ডেলসি, হিল্ডা, ডলি, রনজিৎ, দীপ্ত, লিজাÑ এরা সবাই আমাকে সহযোগিতা করে। সুখ-দুঃখ, ভুল-ত্র“টি নিয়েই মানুষের জীবন। অতএব, ভুল-ত্র“টি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেনÑ এ প্রত্যাশায়। এন এইচ কে মিঠু ০১৯৩৭-৭১১০০৪
এন এইচ কে মিঠু—সমকালীন সাহিত্য জগতে এক অনন্য নাম। তার সাহিত্যচর্চা হৃদয়জাত সংবেদনশীলতা ও মানবিক দায়বদ্ধতার অনুরণনে গঠিত। একজন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার ও ফিচার লেখক হিসেবে মিঠু পাঠকদের মন ছুঁয়ে গেছেন ভিন্নস্বাদের রচনায়। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ উপন্যাস: নির্ঘুম রাত্রি অপমৃত্যু আকর্ষণ বিকর্ষণ মুক্তির জন্য সংগ্রাম ছোটগল্প সংকলন: ঈদ ও আনন্দ মা আমার মা আমার বাবা মানুষ মানুষের জন্য কালের প্রবর্তনে রাজনীতি নাটক: আশার আলো সংগ্রাম স্বপ্নপূরণ জীবনের পরিবর্তন শ্বশানে হলো ফুলশয্যা ফিচার: অচেনা নক্ষত্র অর্জন যুগান্তর ওয়াল্টন প্রথম সেরা গল্পকার (২০১৩) যুগান্তর নবোদয় হাউজিং লিমিটেড মুক্তিযুদ্ধ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুভেচ্ছা স্মারক (২০১৩) সাহিত্য ভাবনা মিঠুর লেখালেখি নিছক কল্পনার ফসল নয়; বরং তা সমাজের বাস্তবতা, নিঃসঙ্গতা, আর মানুষের অন্তর্জগৎ নিয়ে এক অন্তর্মুখী অনুসন্ধান। উপন্যাস বা নাটকে তিনি চরিত্র নির্মাণে জীবন্ততা এনে দেন—যেন চরিত্রেরা তার সঙ্গে হাঁটে, হাসে, কাঁদে। লেখা শেষ হলে এই চরিত্রদের হারানোর বেদনা থেকেই শুরু হয় তার পরবর্তী রচনার যাত্রা। ব্যক্তি মিঠু কেবল সাহিত্য নয়, মিঠু জীবনে ও সম্পর্কেও আন্তরিক। ব্যস্ততার মধ্যেও খোঁজ রাখেন পরিচিত-অপরিচিতের। আর্থিক বা সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বরাবরই তিনি সক্রিয়। তার মানবিক বোধ এবং সাহিত্য—দুটিই একে অপরকে পরিপূরক করে। এন এইচ কে মিঠু কেবল একজন সাহিত্যিক নন, তিনি একজন মানবিক স্রষ্টা—যার কলম বয়ে আনে আবেগ, প্রতিবাদ ও ভালোবাসার ধারাপাত।