কবি মাহমুদ আলী খন্দকার-এর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “আলোকবর্তিকা” এক মননশীল ও ভাবনাসমৃদ্ধ সাহিত্যিক প্রয়াস, যা পাঠককে মানবতা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ এবং সময়ের বাস্তবতায় নতুন করে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এই গ্রন্থের কবিতাগুলো একেকটি আলাদা আলোচ্য বিষয়, যেখানে কবি তাঁর নিজস্ব উপলব্ধি ও অনুভব দিয়ে নির্মাণ করেছেন এক গভীর কাব্যিক জগৎ।
গ্রন্থটির কবিতাগুলো সমসাময়িক সমাজ, রাজনৈতিক বাস্তবতা, মানুষের নৈতিক অবক্ষয়, প্রেম, ভালোবাসা, আধ্যাত্মিক অনুধ্যান এবং সামাজিক মূল্যবোধকে ছুঁয়ে যায়। কবিতা যেমন “ঘুষচক্র”, “পরজীবী” বা “বেহায়া গণতন্ত্রায়ণ” পাঠককে ভাবায় সমাজের অসঙ্গতি নিয়ে, তেমনি “স্রষ্টার মহিমা”, “ভালো থেকো” কিংবা “স্বপ্নবাজ চোখ” আত্মিক প্রশান্তি আর হৃদয়ের কোমলতা ছড়িয়ে দেয়।
“আলোকবর্তিকা একটি আদর্শিক এবং মানবিক যাত্রার দলিল। এতে প্রতিফলিত হয়েছে একজন সচেতন কবির দায়বদ্ধতা এবং সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যয়। কবির ভাষা সহজবোধ্য হলেও তার ভেতরের ভাবগভীরতা পাঠকের অন্তরস্পর্শী অনুভব জাগায়।
কাব্যগ্রন্থের মুখবন্ধ ও উৎসর্গাংশে কবি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন বিশ্বাসের আলোকিত পথপ্রদর্শকদের, তাঁর পরিবার ও সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অত্যন্ত মার্জিত ও মানবিক ভঙ্গিতে। এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে একজন কবির ব্যক্তিগত জীবনদর্শন ও নৈতিক দায়বোধের ছাপ।
বহুমাত্রিক প্রতিভাবান কবি মাহমুদ আলী খন্দকার। তিনি গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সরকার ও রাজনীতি’বিভাগ থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে একটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন।
কবি মাহমুদ আলী খন্দকার বাংলাদেশ বেতারের একজন উপস্থাপক। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, বঙ্গকথা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি, মানবাধিকার সংস্থার গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি, ডিবেটিং সোসাইটি, গোপালগঞ্জ এর সহসভাপতি, বিএনসিসির প্লাটুন কমান্ডারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন তিনি।
বহুমাত্রিক প্রতিভাবান কবি মাহমুদ আলী খন্দকার। তিনি গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সরকার ও রাজনীতি’ বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে একটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন। কবি মাহমুদ আলী খন্দকার বাংলাদেশ বেতারের একজন উপস্থাপক। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, বঙ্গকথা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি, মানবাধিকার সংস্থার গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি, ডিবেটিং সোসাইটি, গোপালগঞ্জ এর সহসভাপতি, বিএনসিসি’র প্লাটুন কমান্ডারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত। তিনি এক পুত্র সন্তানের জনক। মানব জীবন ও জগৎ, জন্ম, বিবর্তন, প্রেম মৃত্যু, মৃত্যু পরবর্তী জীবন, পরিণাম, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বৈষম্য, যুদ্ধ, মানবতা প্রভৃতি বিষয়গুলো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাব্যরূপ দিয়ে এক নতুন চেতনার সঞ্চার করছেন। আর এমন চেতনাকে তিনি ‘আলোকবর্তিকা’ নামে উপস্থাপন করেছেন। এটি তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেম প্রকৃতি ও দ্রোহের কাব্য’ ২০২২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল। মানুষের আত্মীক ইতিবাচক পরিবর্তনে কাব্যগ্রন্থটি পাঠকের মনোজগতে নাড়া দেবে। ইসলামী মূল্যবোধের এই কবি ইসলামের চেতনাকে কাব্যের মাধুর্যে অত্যন্ত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন ‘আলোকবর্তিকা’ গ্রন্থে। তাঁর ক্ষুরধার রচনা বাংলা সাহিত্যে স্থান করে নেবে বলে আমার বিশ্বাস।