Summary:
সোনাপাতা (Senna Leaf) বীরুৎ জাতীয় পাতা। যা দেখতে অনেকটা মেহেদি পাতার মতো। এর হালকা বুনো গন্ধ আছে। পাতার রং কাঁচা অবস্থায় হলুদাভ সবুজ এবং শুকানো হলে হলুদাভ সোনালি বর্ণ হয়। চমৎকার ভেষজ গুণাবলির জন্য এই পাতা বেশ সমাদৃত। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে সরাসরি সোনাপাতার চাইতে এর গুঁড়া থেকে অধিক উপকার পাওয়া যায়।
সুদান, সোমালিয়া, পাঞ্জাব ও উত্তর ভারতে এই পাতা প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোনাপাতা পাওয়া যায়। আরব দেশের জঙ্গলে সোনাপাতা প্রচুর পরিমাণে জন্মে থাকে। সোনাপাতার চা হালকা মিষ্টি স্বাদের। তবে একটু কড়া করে তৈরি করলেই তা অধিক তিতা স্বাদযুক্ত হয়। তাই অনেকেই চা পাতার সাথে মিশিয়ে এটি গ্রহণ করে থাকেন।
সোনাপাতা (Senna Leaf) গুঁড়ার পুষ্টিগুণ
১। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধে সোনাপাতা খুব ভালো কাজ করে। এই পাতা খানিকটা পিচ্ছিল হওয়ায় মানবদেহের বৃহদন্ত্রে পানি ও ইলেকট্রোলাইট শোষণ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে অন্ত্রের উপাদানগুলোর ভলিউম চাপ বৃদ্ধি করে এবং কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপ্ত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে খুব সহজে দেহ থেকে মল নিষ্কাশিত হয়। এ জন্য সোনা পাতাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহৌষধ বলা হয়।
২। সোনা পাতায় এনথ্রানয়েড নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে কার্যকর রাখতে সহায়তা করে।
৩। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।
৪। ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫। রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৬। কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
৭। অর্শ রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
৮। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভালো কাজ করে।
৯। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
১০। রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে কাজ করে।
কেন খাবেন খাস ফুডের সোনা পাতার গুঁড়া?
১। শতভাগ খাঁটি ও নিরাপদ।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহৌষধ।
৩। সঠিকভাবে রাখলে প্রায় ৩ বছর যাবৎ সংরক্ষণ করতে পারবেন।
৪। নিজস্ব তত্বাবধানে সংগৃহীত ও প্যাকেটজাত করা।
এই চমৎকার ভেষজ গুণ সম্পন্ন পাতা অধিকে সেবনে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষণীয়। তাই অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।