Summary:
সর্পগন্ধা গাছের উপকারিতা : ১. অনিদ্রা ও উচ্চ রক্তচাপে: ২৫০-৫০০ মিলিগ্রাম মূল চূর্ণ প্রত্যহ ১-২ বার পানিসহ সেব্য। এক মাস সেবনে উপকার পাওয়া যায়। ২.উন্মাদ ও হিস্টিরিয়ায়: ২৫০-৫০০ মিলিগ্রাম মূল চূর্ণ প্রত্যহ একবার প্রয়োজনে দুই বার দুধ ও চিনিসহ সেব্য। নিয়মিত ২০-২৫ দিন সেবন করে যাওয়া আবশ্যক। ৩. এটি অত্যন্ত উত্তেজনানাশক ও নিদ্রাকারক। উপযুক্ত মাত্রায় সেবন করলে সুনিদ্রা হয় ও উন্মত্ততা হ্রাস পায়। সে কারণে উন্মাদ চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্পগন্ধার মূল ব্যবহৃত হয়। ৪. এর মূল বায়ুর উর্ধগতিকে দমন করে। বিষধর সাপে কামড়ালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সর্পগন্ধা বায়ুচাপ দমন করে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করার সময় পান। ৫. এ ছাড়াও মূলের নির্যাস তলপেটের ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয় এবঙ জ্বরের ওষুধ হিশেবে ব্যবহৃত হয়। রাসায়নিক উপাদান, সর্পগন্ধা মূলে ইনডোল এলকালয়েড রয়েছে যাতে রিসারপিন, ডিসারপিডিন, রেসিনামিন থাকে। অন্যান্যের মধ্যে আজমলীন, আজমালিসিন, সার্পেন্টাইন, অলিওরেসিন, ও আনস্যাচুরেটিভ এলকোহল ইত্যাদি রয়েছে। ৬. সর্পগন্ধা গাছের মূলের রস নিদ্রাকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ রোধ করে। ৭. উচ্চরক্তচাপ, চোখের ছানি অপসারণে, বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের দংশনে,মানসিক অবসাদ, বার্ধক্য জনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে,দৈহিক দুর্বলতা, হিস্টিরিয়া রোগে, জ্বর ও পেটের সমস্যা ইত্যাদিতে উপকার পাওয়া যায়। তবে যাদের ব্রাঙ্কাইটিস, হাঁপানি, গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা আছে তাদের সর্পগন্ধা ব্যবহার ক্ষতিকর। ৮. সর্পগন্ধা গাছে স্টেরল, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, অলিক অ্যাসিড, ফিউমারিক এসিড, গ্লুকোজ, যেদিন,খনিজ লবণ,স্টার্চ ইত্যাদি পাওয়া যায় যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করে। ৯. যে বাড়িতে সর্পগন্ধা থাকে সে বাড়িতে সাপ আসেনা। এটি একটি উপকারী উদ্ভি