Summary:
কাঠ বাদামের উপকারিতা:
কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করে :
প্রতিদিন কাঠ বাদাম খেলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, এটি একটি ভালো জিনিস!
কাঠ বাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট নামে এক বিশেষ ধরনের চর্বি থাকে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই ভালো। এই চর্বি আপনার শরীরের জন্য ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত ৫০ গ্রাম কাঠ বাদাম খেয়েছে তাদের LDL এর পরিমান কমেছে এবং HDL ভারসাম্য বজায় থেকেছে।
হৃদরোগের জন্য ভালো :
কাঠবাদাম সুস্থ হৃদয়ের জন্যও খুবই ভালো। এটিতে উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল নিয়ে কাজ করার জন্য বাধানুলক্ষ্য সহকারে পুনর্নির্মাণ করার জন্য প্রোটিন ও প্রকৃতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ :
এটা বলা হয় যে বাদাম খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর কারণ হল প্রতিদিন এক মুঠো কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত কারণ এতে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে তাদের বজায় রাখার জন্য কাঠ বাদাম অপরিহার্য। বাদামের ম্যাগনেসিয়াম ঘনত্বের কারণে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধের বিকাশ ঘটাতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
ওজন কমায় :
কাঠ বাদাম আপনার খিদে এবং তেল জাতীয় স্নাক্স এর ইচ্ছাকে দমন করে কারণ এতে প্রোটিন এবং ফাইবার বেশি এবং কার্বোহাইড্রেট কম।
এটি প্রতিদিন খাওয়া ক্যালোরি কমাতে সহায়তা করে। যেহেতু কাঠ বাদাম খিদে কমায় অতএব আপনি কতটা খাবেন তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে।
দৃষ্টি শক্তির জন্য উপকারী :
কাঠবাদাম ভিটামিন ই এর একটি বড় উৎস, যা আপনার চোখকে রক্ষা করে এবং আপনার লেন্সে অস্বাভাবিক পরিবর্তন বন্ধ করে।
ফলে কাঠ বাদাম খেলে চোখ সুরক্ষিত থাকবে। তবে বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে, তাই সঠিক পরিমাণ জানা দরকার।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে :
এটি একটি যন্ত্রণাদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ হলেও এই আমাদের মধ্যে খুবই সাধারণ।
সঠিক চিকিৎসা না করলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য পরবর্তীকালে পাইলস হতে পারে। তাই অনেক সময়ে কাঠবাদাম সঠিক পরিমানে খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ায়ে কারণ এটাই আঁশ থাকে যা কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।
হাড় শক্তিশালী করে :
চিনাবাদাম আপনার হাড়ের জন্য ভাল কারণ এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য ভালো :
কাঠ বাদামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে যা একইভাবে গ্রিন টি এবং ব্রকলিতে পাওয়া যায়। এই উপাদানটি আপনার ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং এটি আপনার ত্বকের জন্য একটি অ্যান্টি-এজিং হিসাবে কাজ করে।
এটি ছাড়াও কাঠ বাদামের যে তেল হয়ে সেটির সাথে মধু আর লেবু মিশিয়ে মুখে লাগালে উজ্জ্বল ভাব বজায় থাকে।