User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মহাভারতের মতো এক সুবিশাল, বহুস্তরবিশিষ্ট কাহিনিতে কিছু চরিত্র শুধুই “ঘটনা” হিসেবে হাজির হয়ে চলে যায়। তাদের কেউ মনে রাখে না, কেউ বুঝতেও চায় না। এমনই এক চরিত্র একলব্য—নিষাদপুত্র, যে এক সময়ে হয়ে উঠেছিল ধ্বংসাত্মক প্রতিভার প্রতীক, অথচ শোষিত, বঞ্চিত, ন্যায়ের বাণীহীন। সেই অবহেলিত একলব্যকে তুলে এনেছেন কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস, তার এপিকধর্মী উপন্যাস “একলব্য”-তে। . উপন্যাসের সূচনা একলব্যের শৈশবে। নিষাদরাজা হিরণ্যধনু ও রানি বিশাখার ঘরে জন্ম নেওয়া এই বালকটির সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল—ভারতের শ্রেষ্ঠ অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য এর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করা। কিন্তু পিতা হিরণ্যধনু জানতেন, দ্রোণ কেবল ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় বংশীয়দেরই শিক্ষা দেন। ব্যাধ (শিকারি) জাতের সন্তানকে কখনোই মেনে নেবেন না। . তবু একলব্যের দৃঢ় সংকল্পের কাছে সমস্ত বাধা তুচ্ছ হয়ে যায়। পিতামহ অনোমদর্শীর পরামর্শে অবশেষে সে পায় যাত্রার অনুমতি। তার যাত্রা শুরু হয়—উত্তেজনায়, অজ্ঞতায়, আর ভরসায়। . দূর হস্তিনাপুরে গিয়ে একলব্য মুখোমুখি হয় নির্মম বাস্তবতার। দ্রোণাচার্য তাকে সরাসরি তিরস্কার করে বিদায় দেন, কারণ সে “নিচুজাত”। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনুর্বিদ দ্রোণ যখন জাত পরিচয়ের ছুতোয় একলব্যকে ফিরিয়ে দিলেন, তখন একলব্য কারো প্রতি বিষোদ্গার না করে নিজেই নিজের মনে দ্রোণকে গুরুর আসনে বসালেন, জঙ্গলের গভীরে গিয়ে মধ্যে মাটি দিয়ে তৈরী তাঁর মূর্তিকে বানালেন সাধনার কেন্দ্র। বছরের পর বছর একান্তে, নিঃসঙ্গভাবে, নিঃশব্দে চালিয়ে গেলেন কঠিন অস্ত্রচর্চা। . সেই নিঃশব্দ সাধনাই এক সময় তাকে গড়ে তুলল একক ও অতুলনীয় এক ধনুর্বিদ হিসেবে। সে আয়ত্ত করেছিল এমনসব নিপুণ শরনিক্ষেপ কৌশল, যা দ্রোণাচার্যের প্রিয়তম শিষ্য অর্জুনেরও অজানা ছিল। একদিন শিকারে গিয়ে অর্জুন তার কীর্তি দেখে অভিভূত এবং ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠে। জানতে চায়, এত কিছু কে তাকে শিখিয়েছে? . একলব্য জানায়—সে মৃন্ময় মূর্তির রূপে দ্রোণকেই গুরু হিসেবে মানে। . অর্জুন দ্রোণাচার্যের কাছে ছুটে যায়, প্রশ্ন তোলে “অঙ্গীকার”-এর। দ্রোণ একদিন তাকে কথা দিয়েছিলেন—অর্জুনই হবেন শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর। . অতএব, একলব্য নামক এই প্রতিভাকে দমন করতেই হবে। তাই দ্রোণ গুরুদক্ষিনার নামে কোনো দ্বিধা ছাড়াই, ঠাণ্ডা মাথায়, কৌশলে সেই প্রতিভাকে হীনবল করে দিতে চাইলেন, যেন একমাত্র অর্জুনই ধরণীতে শ্রেষ্ঠ ধনুর্বিদ হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকে।” কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সরস্বতীর তীরে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে এই অর্জুন-যুধিষ্টিদের কৌশলের কাছেই পরাজিত হয় দ্রোণ। যেখানে প্রিয় অর্জুন যুদ্ধ করে গুরু দ্রোণের বিরুদ্ধে। যে নিচুজাতের জন্য একলব্যকে দ্রোণ উপেক্ষা করেছে সেই একলব্যই তাকে যতটা সম্ভব ছিল তাকে শেষ পর্যন্ত সুরক্ষা দেবার চেষ্টা করে গেছে। . বইটা পড়ে ওভারঅল আমার খুব ভালো লেগেছে। . #একলব্য #HarishankarJaladas #বাংলাসাহিত্য
Was this review helpful to you?
or
একলব্য বইটি আমার দরকার ।
Was this review helpful to you?
or
একজন নিষাদ পুত্রকে এইভাবে তুলে ধরতে মনে হয় হরিশংকর জলদাস ছাড়া অন্য কেউ পারতো না। অনেক সুন্দর উপন্যাস । ৯/১০ পার্সোনাল রেটিং
Was this review helpful to you?
or
একলব্য হরিশংকর জলদাস একলব্য মহাভারতের এক উপেক্ষিত চরিত্র। নিম্নগোত্রীয় নিষাদ কুলের রাজপুত্র সে। সে স্বপ্ন দেখে জগদ্বিখ্যাত ধনুর্বিদ দ্রোণাচার্যের কাছে অস্ত্রশিক্ষা লাভ করবে। সকল বাধাবিপত্তিকে হেয় করে তাই নিষাদভূমি ছেড়ে আর্যভূমিতে পদার্পণ করে। তবে নিম্নগোত্রীয় বলে তাকে শিক্ষাদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন দ্রোণাচার্য। মনের দুঃখে একলব্য গ্রহণ করে অরণ্যবাস। গভীর অরণ্যে দ্রোণাচার্যের মৃণ্ময় মূর্তি গড়ে তার পাদদেশেই নিজে নিজে অস্ত্রশিক্ষা গ্রহণ করে। দ্রোণাচার্যের অনুপস্থিতিতেই সে লাভ করে দ্রোণাচার্যের শিষ্যত্ব। স্বপ্রয়াসে নিজেকে গড়ে তোলে অর্জুন বা কর্ণের চেয়েও উঁচুমানের ধনুর্ধর হিসেবে। তবে অন্ধ ঐ গুরুভক্তির জন্য চরম মূল্য দিতে হয় তাকে শেষ পর্যন্ত। মহাভারতের বিশাল বিস্তারে একলব্য খুব ছোট চরিত্রই বটে। শুরু থেকে লেখক একলব্যের দৃষ্টিকোণ ও দর্শণ যেভাবে বিস্তার করেছেন, পরবর্তিতে তা ধরে রাখতে পারেননি। প্রাসাঙ্গিক ভাবেই এসেছিল দ্রোণাচার্যের কথা।
Was this review helpful to you?
or
হরিশংকর জলদাস এর বর্ণনা একাধারে যেমন হৃদয়ে চির ধরিয়ে দেয় তেমনি জাগ্রত করে মনুষত্ববোধ। কালে অকালে এখনো একলব্যরা জন্ম নেয়। প্রতিনিয়ত স্বীকার হয় বৈষম্যের। তবুও কর্ণ হয়ে আসে পুরো একটি হাত আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন একলব্যের কাছে।
Was this review helpful to you?
or
সমাজের প্রান্তিক মানুষদের সর্বদা উঠে আসে হরিশংকরের লেখাতে । তার লেখার সাথে প্রথম পরিচয় " রামগোলাম " দিয়ে - হরিজনদের জীবনকাহিনী দিয়ে তার লেখনীতে মুগ্ধ হওয়া - পরবর্তী প্রতিটা বইমেলা ই লেখকের বই সাগ্রহে কিনেছি - মজেছি লিখনীর অসামান্য জাদুতে - হোক তা জেলেদের নিয়ে লেখা " জলপুত্র / দহনকাল " , পতিতা দের নিয়ে লেখা " কসবি " কিংবা কৈবর্ত কেন্দ্রিক " মোহনা " । সব রচনাতেই যেন সমাজের নিচু শ্রেণি মানুষের জীবনযাপন - দুঃখ কষ্ট - বেদনা ফুটে উঠে নিদারুণভাবে । এবারের উপন্যাস মহাভারতের " একলব্য " কে কেন্দ্র করে । হিন্দু সমাজের নিচু বংশ " নিষাদ " সমাজের রাজপুত্র । তার আশা কুরু রাজ্যের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের কাছে শিক্ষা নেয়া । বাবা মায়ের শত বারণ সত্তে ও পিছপা হয়না হিরণ্যধনু তনয় । রাজ - পাঠ এমনকি শরীরের বস্ত্র বিসর্জন করে যাত্রা শুরু করে কুরুরাজ্য হস্তিনাপুরে । অপরদিকে দ্রোণের দ্রোণাচার্য হবার সংগ্রাম তুলে ধরেছেন লেখক । ব্রাহ্মণ দ্রোণ কিভাবে অস্ত্র চালনায় আসলেন - ব্রাহ্মাস্ত্র লাভ করলেন - কিভাবেই বা এক কালের পরম বন্ধু শত্রুতে পরিণত হল , ভারতের শ্রেষ্ঠতম অস্ত্রগুরুর আসনে বসলেন - সব ই ফুটে এসেছে একলব্য কেন্দ্রিক এই উপন্যাসে । তো , যা বলছিলাম , নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে একলব্য চলে আসে দ্রোণের অস্ত্রালয়ে। মনে সুপ্ত বাসনা , ক্ষত্রিয়দের অস্ত্র শিক্ষা দেয়া বামুন দ্রোণ তাকে শিষ্য করে নিবেন - শেখাবেন তীর ধনুকের নানা কৌশল । কিন্তু ব্রাহ্মাস্ত্র ধারি দ্রোণ কি একলব্য কে নিজের শিষ্য মর্যাদা দিয়েছিলেন ? অার্য সমাজের রাজপুত্রদের ভিড়ে একলব্যের অস্ত্র নিপুণতা কি আদৌ স্বীকৃতি পেয়েছিল ? সকল উত্তর মিলবে " একলব্য " উপন্যাসে --- " একলব্য " উপন্যাসে অনার্যদের প্রতি অার্যদের নিপীড়নের কথা উঠে এসেছে - এসেছে স্বার্থের জন্য গুরুভক্তির নাম করে অমূল্য সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া - ফুটে উঠেছে একলব্যের গুরু নিষ্ঠা - দ্রোণের পক্ষপাতদুষ্টটা - জলদাসের ১০ বছরের পরিস্রমের ফসল এই উপন্যাস -- আশা করি বইপ্রেমিদের ভালো লাগবে
Was this review helpful to you?
or
হরিশংকর জলদাস এর আগে লিখেছেন জেলেদের নিয়ে , বেশ্যাদের নিয়ে , মেথরদের নিয়ে ।চোর বাটপার লুচ্চা এই ধরনের বিভিন্ন লেখা তিনি তার আগের বইগুলোতে লিখেছেন । এবার সে একটু আলাদা ধরনের লেখা লিখেছেন। মহাভারতের যে একলব্য চরিত্রটা আছে না, সেই চরিত্রকে নিয়েই। মহাভারতে তার যে গুরু ছিলেন দ্রোণাচার্য, তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন আর একলব্য ছিলেন নিষাদ। আমাদের আজকালকার ভাষায় আমরা যাকে ব্রাত্য বলি, সমাজের নিম্নবর্ণের বলি। তো, ওর (একলব্য) ভেতরে দ্রোণাচার্যের কাছে শিক্ষাগ্রহণ করবার একটা দুর্নিবার আকাঙ্খা-বাসনা কাজ করেছে। এই বাসনা দ্বারা তাড়িত হয়ে সে এসেছে দ্রোণাচার্যের কাছে। কিন্তু দ্রোণাচার্য যখন তার পিতৃপরিচয় জানলো, জানলো যে সে ব্যাদের সন্তান, তখন বলে যে- না, আমি কোনো ব্রাত্যদের শিক্ষা দেই না। তো একলব্য চলে গেছে জঙ্গলের মধ্যে, গভীর অরণ্যে ইয়ের একটা মূর্তি করে (দ্রোণাচার্যের একটা মূর্তি করে- এহ্সান), মূর্তি করে নিজে নিজে সাধনা করতে লাগলো। এবং সাধনায় সাকসেসফুল হয়েছে। এটা আবার তার (দ্রোণাচার্য)প্রিয় ছাত্র অর্জুণ জেনেছে যে সে (একলব্য) একজন দক্ষ ধনুধারী হয়েছে অরণীর মধ্যে। এবং দ্রোণাচার্যকে প্ররোচিত করে নিয়ে গিয়ে দক্ষিণার নামে তার বুড়ো আঙ্গুলটা কেটে নিয়েছে, যে বুড়ো আঙুল ছাড়া তীর নিক্ষেপণ বা অসি ধরা সম্ভব নয়।” “আমাদের দেশে আদিবাসী একটি সম্প্রদায় আছে, যারা তীর চালনায় বৃদ্ধাঙ্গুল ব্যবহার করে না।” এই কথার প্রেক্ষিতে লেক বলেন, ”ব্যবহার করে না ওই যে একলব্যর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে। ধনুক টানবার সময়ই বৃদ্ধাঙ্গুল বাদ দিয়ে টানবার চেষ্টা করে। এই উপন্যাসটা আর ‘সেই আমি নই আমি’ও মহাভারতে একটা চরিত্র।এইরকম সমস্যার পরে সে আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় । আমাদের জীবনে যা এখন ঘটেই যাচ্ছে । অসাধারন এ উপন্যাস টি পাঠক দের নিকট ভালো লাগবে ।
Was this review helpful to you?
or
মহাভারতের একটি চরিত্রের নাম একলব্য। সেই একলব্যকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে ‘একলব্য’ উপন্যাসের কাহিনী। রাইজিং বিডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেখক হরিশংকর জলদাস ’একলব্য’ পৌরানিক কাহিনীর চরিত্র কি না এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, “হ্যাঁ, পৌরাণিক চরিত্র। মহাভারতের যে একলব্য চরিত্রটা আছে না, সেই চরিত্রকে নিয়েই। মহাভারতে তার যে গুরু ছিলেন দ্রোণাচার্য, তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন আর একলব্য ছিলেন নিষাদ। আমাদের আজকালকার ভাষায় আমরা যাকে ব্রাত্য বলি, সমাজের নিম্নবর্ণের বলি। তো, ওর (একলব্য) ভেতরে দ্রোণাচার্যের কাছে শিক্ষাগ্রহণ করবার একটা দুর্নিবার আকাঙ্খা-বাসনা কাজ করেছে। এই বাসনা দ্বারা তাড়িত হয়ে সে এসেছে দ্রোণাচার্যের কাছে। কিন্তু দ্রোণাচার্য যখন তার পিতৃপরিচয় জানলো, জানলো যে সে ব্যাদের সন্তান, তখন বলে যে- না, আমি কোনো ব্রাত্যদের শিক্ষা দেই না। তো একলব্য চলে গেছে জঙ্গলের মধ্যে, গভীর অরণ্যে ইয়ের একটা মূর্তি করে (দ্রোণাচার্যের একটা মূর্তি করে- এহ্সান), মূর্তি করে নিজে নিজে সাধনা করতে লাগলো। এবং সাধনায় সাকসেসফুল হয়েছে। এটা আবার তার (দ্রোণাচার্য)প্রিয় ছাত্র অর্জুণ জেনেছে যে সে (একলব্য) একজন দক্ষ ধনুধারী হয়েছে অরণীর মধ্যে। এবং দ্রোণাচার্যকে প্ররোচিত করে নিয়ে গিয়ে দক্ষিণার নামে তার বুড়ো আঙ্গুলটা কেটে নিয়েছে, যে বুড়ো আঙুল ছাড়া তীর নিক্ষেপণ বা অসি ধরা সম্ভব নয়।” “আমাদের দেশে আদিবাসী একটি সম্প্রদায় আছে, যারা তীর চালনায় বৃদ্ধাঙ্গুল ব্যবহার করে না।” এই কথার প্রেক্ষিতে লেক বলেন, ”ব্যবহার করে না ওই যে একলব্যর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে। ধনুক টানবার সময়ই বৃদ্ধাঙ্গুল বাদ দিয়ে টানবার চেষ্টা করে। এই উপন্যাসটা আর ‘সেই আমি নই আমি’ও মহাভারতে একটা চরিত্র। ২০১৫ সালে আমার সমস্ত কাজ গেছে মহাভারত নির্ভর- গল্প, উপন্যাস। ‘সেই আমি নই আমি’ লিখেছি সেটা হলো, শকুনী বলে একটা চরিত্র আছে, যাকে আমরা খারাপ লোক হিসেবে, নিন্দিত লোক হিসেবে মনে করি। ‘শকুনীর মামা’ বলি না আমরা। খারাপ মানুষ কিন্তু সব সময়ের জন্য খারাপ মানুষ না। চোর কিন্তু সব সময়ের জন্য চোর না। তার ভেতরে কিন্তু একটা মানব বোধ আছে। তার পুত্রমারা গেলে সে চিৎকার করে কাঁদে। বাবা-মা’কে খাবার দিতে না পারলে তার ভেতরে এক ধরনের বিবেকের দংশন হয়। সেই শকুনীর ভেতরে যে আরেক মানবতাবোধ সম্পন্ন শকুনী বসে আছে সেটাকে আমি তুলবার জন্য চেষ্টা করেছি।”
Was this review helpful to you?
or
নিষাদপুত্র একলব্যের এ আখ্যান আমার মনে থাকবে । মনে থাকবে কর্ণের কথাও । বৈষম্যের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর জন্যে একলব্য, কর্ণদের সংগ্রাম যুগ-যুগান্তরের । কর্ণের চরিত্রের যে অন্ধকার কিছু দিক আমরা দেখতে পাই তার জন্যেও দায়ী তার প্রতি করা সীমাহীন বৈষম্য । সমাজের শোষিত, নির্যাতিত শ্রেণীর মাথা তুলে দাড়ানোর প্রচেষ্টা কখনও বৃথা যাওয়ার নয় । অর্জুন, দ্রোণদের নয়, পৃথিবীতে জয় একদিন হবে একলব্য আর কর্ণদেরই । হরিশংকর জলদাসের এই এপিকধর্মী সৃষ্টি বাংলাদেশের আধুনিক সাহিত্যের অমূল্য সম্পদরুপে পরিগণিত ।