User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#Book_Insights 56 একটা গোয়ালঘর থেকে কি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা যায়? আচ্ছা শুরু থেকে বলি। সদ্য দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন আবু জুনায়েদ — এক সাধারণ রসায়নের শিক্ষক। তার জীবনের এ অবিশ্বাস্য মোড়ের নেপথ্য কৃতিত্ব মনে মনে নিজের নামে লিখে নিচ্ছেন তার স্ত্রী নুররুন্নাহার বানু। ফলে স্বামীকে নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা শুরু হয় তার। অন্যদিকে, আবু জুনায়েদের বহু পুরনো এক সরল শখ রয়েছে—তিনি গাভী পালতে চান। যাহোক, আবু জুনায়েদ কীভাবে কার অবদানে উপাচার্যের পদে ভূষিত হলেন, হওয়ার পর তার জীবনের কেমন পরিবর্তন এলো, সে পরিবর্তন কি সুখের নাকি দুখের সবটা মিলিয়েই স্যাট্যায়ার ধর্মী এ উপন্যাস। • প্রথমত، বইটা যখন পড়া শুরু করেছি, তখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম, মানুষ এ উপন্যাসের যে বিশেষত্বের কথা বলে, সেই বিশেষ অংশে কখন পৌছাবো। খানিক বাদেই বুঝলাম, এর নির্দিষ্ট কোনো বিশেষ অংশ বা দিক নেই; সাড়াটা উপন্যাস জুড়েই এক বিশেষ কায়দায় আমায় গল্পের সাথে জুড়ে রাখা হয়েছে। মনে হয়েছে, আমি নিজেই নিজেকে আবু জুনায়েদ নামক কারো জীবন বৃত্তান্ত একটা পড়ে শোনাচ্ছি। • দ্বিতীয়ত, উপন্যাসের কোন নির্দিষ্ট থিম আছে বা একটা নির্দিষ্ট ঘটনাকে প্রবাহ করবে এমন না। কখনো মনে হবে কাহিনী এগোচ্ছে, আবার কখনো বলে উঠতে পারেন, যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো সেখানেই বুঝি আটকে আছি। এমন করতে করতে উপন্যাস কখন শেষ হয়ে যায় বোঝা ভারি মুশকিল। যার কারণে উপন্যাসটা পড়ার ক্ষেত্রে, আমি শুধুমাত্র নিয়মিত পাঠকদেরকে উপদেশ দেবো। অনিয়মিতরা নির্ঘাত হাল ছেড়ে দিতে পারে। • উপন্যাসের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট দিকটা ছিলো প্রকৃতির অতি স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এ সমাজ, সমাজের মানুষের বহুরূপী দর্শনকে কটাক্ষ এবং তা নিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে রসবোধ জাগ্রত করা। এ কাজটা লেখক এতো সূক্ষ্মভাবে করেছেন, মাঝে মাঝে কোনো চরিত্রের সাথে সামান্য রিলেট করতে গেলেও পরবর্তীতে তাচ্ছিল্য করতে হবে। সব মিলিয়ে খুবই অদ্ভুত রকমের বিষণ্ণ অনুভূতি এবং এ অনুভূতি আপনি কার জন্য লালন করছেন তা বোধয় পাঠক হিসেবে আপনি নিজেও আন্দাজ করতে পারবেন না। এ অনুভূতি বোঝাতে উপন্যাসের এ কবিতাংশই যথেষ্ট: "বটবৃক্ষের তলে গেলাম ছায়া পাইবার আশে পত্র ছেদি রৌদ্র পড়ে আমার আপন কর্মদোষে নদীর ধারে বইস্যা রইলাম নৌকা পাইবার আশে আমারে দেখিয়া নৌকা দূরে দূরে ভাসে।" • ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫ • বই: গাভী বিত্তান্ত • লেখক: আহমদ ছফা • প্রকাশনী: হাওলাদার
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book
Was this review helpful to you?
or
ex
Was this review helpful to you?
or
1 piece
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
GOOD
Was this review helpful to you?
or
Thank you for your Fastest delivery.
Was this review helpful to you?
or
আহমদ ছফা সেই ১৯৯৪-৯৫ সালে মাত্র ২ মাস ১০ দিনে ৬ মাসের গর্ভবতী একটি গাভীর, যার বাবা অস্ট্রেলীয় আর মা সুইডিশ আর মালিক এদেশীয় অক্সফোর্ড এর ১ নম্বর ব্যক্তি, বিত্তান্ত লিখে গেছেন। কিন্তু তার রেশ মানে গাভীটির মালিকের কল্পনার রাজ্যে স্থাপিত তাজমহলের ভর যেন আমাদের অক্সফোর্ডে রয়েই গেছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি তথাকথিত ক্ষমতাবান ও তাদের দোসরদের কাছা খুলে দিয়েছেন। আবু জুনায়েদের বউ নুরুন্নাহার বানু গাভীটিকে সাক্ষাত সতীন ভাবতো। তাই পরিকল্পনামত বিষ খাইয়ে সতীনকে মারার বন্দোবস্ত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে দৃশ্য-অদৃশ্য হাজারো আবু জুনায়েদের লাভের গাভীগুলোতো বিশ্ববিদ্যালয়েরও সতীন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তো নিজে নিজেই বানুর মত অসহনীয় অপমান, লাঞ্ছনা, অবজ্ঞা, অবহেলার কারনে সেই সব আবু জুনায়েদদের গাভীগুলোর মুখে প্রতিবাদ স্বরূপ বিষ ঢেলে দিতে পারে না। ডোরাকাটা, নীল, বেগুনি দলের ছাত্র ও শিক্ষকরাও একেকটা আবু জুনায়েদের পাতানো চাচা শ্বশুর তবারক আর পাতানো ভায়রা আবেদর প্রতিরূপ যারা সাধারণ ছাত্রদেরকে দিলুর মত ভোগ করে তবারকের কন্যা ও বানুর মত শোষণ করে। ছফা একজন আবু জুনায়েদের গল্প শুরু করে অসংখ্য আবু জুনায়েদ, তাদের চরিত্র, লোভ, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, পড়ানোর অনিহা, দ্বিচারিতা, দুর্নীতি তুলে এনেছেন তার উপন্যাস "গাভী বিত্তান্ত" এ। আমাদের অক্সফোর্ড এর কর্তাদের কর্ম, ছাত্র শিক্ষকদের ধর্ম, রাজনীতিকদের আচরণ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, এমনকি শিক্ষক কর্মচারীদের আবাসিক এলাকার গৃহিণীদের কথাও আছে উপন্যাসটিতে। পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল এটা আমার বিশ্ববিদ্যালয়েরই কথা। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়গুলোর স্মৃতি মনে পড়ছিল আর জলজ্যান্ত আবু জুনায়েদদের চোখের সামনে দেখছিলাম। মনে হচ্ছিল আমার সামনেই হচ্ছে এসব কিছু। এখনো পত্রিকার পাতায় তাই দেখি যা আমাদের সময় দেখেছিলাম আর গাভী বিত্তান্ত পরতে পরতে কল্পনায় ভাসছিল। হয়ত আমাদের অক্সফোর্ড একদিন সত্যিকারের অক্সফোর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে। সেদিন এই উপন্যাসের পাঠকরা ভাববে ছফা হয়তো কল্পনার রঙ মিশিয়ে মঙ্গল গ্রহের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু জুনয়াদদের গল্প বলছেন।
Was this review helpful to you?
or
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মিয়া আবু জুনায়েদ এবং তার গাভী নিয়ে লেখা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর লেখা উপন্যাস ।
Was this review helpful to you?
or
পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ গাভী বিত্তান্ত---আহমদ ছফা "গাভী বিত্তান্ত" নাম শুনেই মনে হবে হরেক রকম গাভী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।কোন জাতের গাভী কত বেশি দুধ দেয় কিংবা কতো বেশি মাংশ দেয়। কিন্তু, পড়ার পর একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে চলছে সেটার বাস্তবচিত্র কিছুটা হলেও জানা যাবা।লেখক হাস্য রসাত্মক কাহিনি দিয়ে মূলত বাস্তবতাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। ★বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্তব্য কী? পাঠদান,গবেষনা কিংবা এমন উৎপাদনমুখী কোনো কাজে জড়িত থাকা।অথচ বাস্তবতা হলো তারা নোংরা রাজনীতির সাথে জড়িত।তারা স্বার্থের নিমিত্তে অযোগ্য ব্যক্তিকেও দায়িত্ব বসাতে পারেন।যা আবু জুনাঈদের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আরো দেখা যায়,দলীয় অন্ধ রাজনীতির কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ভালো কাজ করলেও বিরোধী দলীয় সদস্যরা সেটার নেতিবাচক ব্যাখ্যা প্রচার করতে বিন্দু মাত্র কসুর করেন না। অন্যদিকে নেতিবাচক দিকগুলো দলীয় সদস্যরা ইতিবাচক প্রচারণা করতে ভালোবাসেন। লেখক অত্যন্ত তীক্ষ্ণতার সাথে এগুলো দেখিয়েছেন। ★তোষামুদে কিছু মানুষ জীবনের প্রতিক্ষেত্রে দেখা যায়।যারা ব্যক্তিসুবিধা অর্জনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির তেলবাজিতে মগ্ন থাকেন।হয়তো দলীয় স্বার্থের কারণে সবার সামনে নেতিবাচক সমালোচনা করেন। কিন্তু একান্তে নিভৃতে তেলবাজিতে কম যান না তারা। লেখক চতুরতার সাথে এসব মানুষের ও পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন আমাদের। ★বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে উপন্যাসে।তুচ্ছ কারণে আন্দোলন করা,ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা কিংবা গ্যাস বিদ্যুতের জন্য উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর করা প্রভৃতি ও উল্লেখ করেছেন লেখক। রাজনীতির শিকার গ্রামের ছেলেমেয়ে গুলোর অবস্থা দেখিয়েছেন।কীভাবে নষ্ট হয় তাদের স্বপ্ন গুলো,তারা কীভাবে বলির পাঠা হয় সেগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। সর্বোপরি,উপন্যাসটি পড়ার সময় যেমন আনন্দ পাওয়া যাবে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় পাড়ার হাঁড়ির খবর ও জানা যাবে।পড়ার সময় মনে হবে লেখক বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়েই লিখেছেন। সচেতন এবং ভাবুক ধরণের পাঠক অবশ্যই পড়তে পারেন বইটি।
Was this review helpful to you?
or
গাভী বিত্তান্ত বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ ও লেখক আহমদ ছফা রচিত একটি উপন্যাস। এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট আবর্তিত হয়েছে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন উপাচার্যের জীবন প্রবাহ নিয়ে।এখানে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ আবু জুনায়েদ এই গল্পের প্রধান চরিত্র। খুবই সাধারন তার জীবন যাত্রা,তার চিন্তা বা স্বপ্ন। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি আর অতিরাজনীতির ঘেরাটোপে এক সময় হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত হন তিনি।এই উপাচার্যের পদে অধিষ্ঠিত হওয়াটাই তার নিজস্ব জীবন যাপন প্রক্রিয়ায় এবং দৃষ্টিভঙ্গীতে নিয়ে আসে আমূল পরিবর্তন। পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিরসন করতে গিয়ে,বিশ্ববিদ্যালয়ে মিটিং মিছিল দুর্ঘটনা,নিজ দলীয় কর্মীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি সামলে উঠতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন এ দেশে একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যক্ষ কখনো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না,বিভিন্ন মহলকে ব্যালেন্স করে তাকে নিজ পদে টিকে থাকতে হয়।তার উপর তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বানুর বিভিন্ন সন্দেহের শিকার হয়েও তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন।তার এসব কষ্ট দেখে এক পর্যায়ে ভিসির বাংলোতে একটা গোয়ালঘর বানিয়ে দুর্লভ জাতের একটা গাভী উপহার দেন তার চাচা শ্বশুর ঠিকাদার তবারক আলী।সেই গোয়ালে ঠাঁই হয় ‘তরণী’ নামে একটি গাভীর। উপাচার্যের এই গাভীর বংশপরিচয় সম্পর্কে আহমদ ছফা লিখেছেন, ‘সুইডিশ গাভী এবং অস্ট্রেলিয়ান ষাঁড়ের মধ্যে ক্রস ঘটিয়ে এই বাচ্চা জন্মানো হয়েছে’। আবু জুনায়েদ মনে করেন এই প্রাণীটিই বরং তার জন্য মঙ্গলকর। এই প্রাণীটির কোন চাওয়া নেই,দাবি নেই,নেই কোন ষড়যন্ত্র। তখন থেকেই তার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে গাভীটি। তার সমস্ত কার্যক্রম ওই গোয়ালঘর থেকেই পরিচালিত হতে থাকে।এদিকে জুনায়েদ সাহেবের স্ত্রী গাভীটাকে মনে করতে থাকেন তার সতীন ।তিনি ষড়যন্ত্র করতে থাকেন, কিভাবে গাভীকে হত্যা করা যায় এবং অবশেষে বিষ খাইয়ে গাভীটাকে হত্যা করার মাধ্যমে উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে। মূলত এই গোয়ালঘরকে কেন্দ্র করেই আহমদ ছফা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্দরমহলের নোংরা চিত্রটি তুলে ধরেছেন,তুলে ধরেছেন গৌরবজ্জল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি, শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন কোন্দল ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামগ্রিক অবস্থান আর জ্ঞানচর্চার মোড়কের আড়ালে ভেতরকার নোংরা চিত্র এত নিখুঁতভাবে এর আগে কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারেন নি।লেখক আহমদ ছফা সেসময়কার আর্থ-সামাজিক, পারিবারিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিবেশকে অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন বলে মনে করি।এজন্য উপন্যাসের অনেক চরিত্রই পাঠকদের খুব পরিচিত লাগবে।প্রায় দুই যুগ আগে লেখা হলেও এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট এবং ঘটনাবলি এখনকার পাঠকের কাছেও খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হবে। তাই দেরি না করে অাজই পড়ে ফেলুন বাস্তবতার সাথে সম্পর্কিত চমৎকার এ বইটি।